রাজশাহীতে করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় মোট ৭ জনের মৃত্যু

বিশেষ প্রতিনিধি: রাজশাহীতে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে একদিনে ০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত থেকে আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত তারা মারা গিয়েছেন। এদের মধ্যে ০৪ জন মারা গেছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে বলে জানিয়েছেন এর উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস।
করোনায় হাসপাতালে মারা যাওয়া রোগীরা হলেন যথাক্রমে, রাজশাহী মহানগরীর আমবাগান এলাকার সাইদুর রহমান (৪৫), শিরোইল কলোনী বড় মসজিদ এলাকার মোঃ সিয়ামুল হক (৬০), লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়া এলাকার মোসাঃ রাবেয়া বেগম (৬৫), ঘোষপাড়া এলাকার মোঃ খোকন (৪০)। এদের মধ্যে খোকন ও সাইদুর মারা গেছেন হাসপাতালের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে। সিয়ামুল হক ছিলেন ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে। আর রাবেয়া বেগম ছিলেন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)’তে।
অপরদিকে, করোনায় মৃত্যু বরণকারী অন্য তিনজন হলেন যথাক্রমে,  রাজশাহীর তানোর উপজেলার কামারগাঁ গ্রামের মকবুল হোসেন (৭৫), রাজশাহীর হযরত শাহমখদুম (র.) মাজারে আসা যশোরের অভয়নগরের আশরাফুল ইসলাম (৪৮) এবং বোয়ালিয়া থানা এলাকার সুভাষ চন্দ্র সাহা (৫০)।
ডা. সাইফুল ফেরদৌস বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে যারা মারা গেছেন তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়াও তাদের লাশ দাফনের জন্য কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনকে জানানো হয়েছে। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন, পুলিশ ও স্থানীয়দের দেয়া তথ্যমতে, তানোরের মকবুল হোসেনের দুই ছেলে করোনায় আক্রান্ত। মকবুল করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। মকবুল ছাড়া বাকি সবার লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেছেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকরা।
পুলিশ প্রশাসনের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, যশোরের আশরাফুল ইসলাম রাজশাহীর হযরত শাহমখদুম (র.) এর মাজারের সামনে থাকতেন। কয়েকদিন ধরে তার জ্বর ছিল। আজ রোববার সকালে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে রামেকের মর্গে পাঠায়। পরে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনকে দাফনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি রুহুল আমীন খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.