সরকার দেশের লুটেরা পুঁজিপতিদের স্বার্থে জাতীয় সম্পদ রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলগুলো বন্ধ করছে-বাম গণতান্ত্রিক জোট


খুলনা ব্যুরো: বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতৃবৃন্দ বলেছেন,সরকার দেশের লুটেরা পুঁজিপতিদের স্বার্থে জাতীয় সম্পদ রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলগুলো বন্ধ করছে। পাটপণ্যের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে পরিবেশবান্ধব পণ্য হিসেবে পাটপণ্যের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। এ খাতে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় বাড়ছে।
এ বর্ধিত বাজার মুনাফাবাজ ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দেয়ার জন্যই সরকার এসব পাটকল বন্ধ করে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দিতে চায়। এরজন্য দুর্নীতি ও লুটপাট করে এসব শিল্পকে সুপরিকল্পিতভাবে অলাভজনক করা হয়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল বন্ধ করে পিপিপি বা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত বাতিল করা এবং ভুলনীতি-দুর্নীতি-লুটপাট বন্ধ করে পাটশিল্পকে আধুনিকায়নের দাবীতে পূর্বঘোষিত কমসূচির অংশ হিসেবে বাম গণতান্ত্রিক জোট, খুলনা জেলা শাখার উদ্যোগে আজ রবিবার (২৮ জুন) সকালে আটরা শিল্প এলাকার ইষ্টার্ণ জুট মিলস্ গেটে এক প্রতিবাদী সমাবেশে নেতৃবৃন্দ একথা বলেন।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সদস্য শ্রমিকনেতা মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন-বামজোট খুলনা জেলা সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ নেতা জনার্দন দত্ত নাণ্টু, বাংলাদেশের কমিউনস্ট পার্টি (সিপিবি)’র কেন্দ্রীয় সদস্য এস এ রশীদ, খুলনা জেলা সাধারণ সম্পাদক এড. রুহুল আমিন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সদস্য গাজী নওশের আলী, টিইউসি খুলনা জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান মোল্লা, ইষ্টার্ণ জুট মিলস শ্রমিকনেতা আলাউদ্দিন, ইজদান আলী, মেহেদী হাসান বিল্লাল প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার পর বিজেএমসি’র আয়ত্বাধীন ৮১টি মিল ছিল। বিশ্ব ব্যাংকের পরামর্শে সরকার ’৮০ ও ’৯০ দশকে অধিকাংশ মিল বন্ধ করে। সর্বশেষ ২০০২ সালে বিশ্বখ্যাত আদমজী মিল বন্ধ করেছে। এতে পাট পণ্যের বাজার বাংলাদেশের হাত থেকে ভারতের হাতে চলে গেছে। এখন সরকারের কাছে মাত্র ২৫টি মিল চালু আছে।
শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ-স্কপ এসব মিলের অব্যবস্থাপনা দূর করে আধুনিকীকরণ করার সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা সরকারকে দিয়েছে। কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। এ সব প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন করতে মাত্র এক হাজার কোটি টাকা লাগবে অথচ এ মিলগুলো বন্ধ করতে সরকারের ছয় হাজার কোটি লাগবে।
করোনা মহামারী এ দুর্যোগে সরকার প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক, তাদের কয়েক লক্ষ পরিবার ও পাটচাষিসহ কোটি মানুষকে পথে বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে। নেতৃবৃন্দ সরকারের এ স্বৈরাচারী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক নাগরিকবৃন্দ, শ্রমিক-কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক দেন।
আগামীকাল সোমবার (২৯ জুন) সকাল সাড়ে ৯টায় রাজঘাট শিল্পাঞ্চলে জেজেআই জুট মিলস্ গেটে এবং ৩০ জুন সকাল সাড়ে ৯টায় খালিশপুর শিল্পাঞ্চলে প্লাটিনাম জুট মিলস গেটে সমাবেশ সফল করার আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মাশরুর মুর্শেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.