যেখানে ডেঙ্গু রোগী সেখানেই বিশেষ অভিযান : এলজিআরডি মন্ত্রী

ঢাকা প্রতিনিধি: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, এডিসসহ অন্যান্য মশার প্রাদুর্ভাব ও ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণে যে এলাকায়, অর্থাৎ যে বাসাবাড়িতে রোগী পাওয়া যাবে, হাসপাতাল থেকে সেই ব্যক্তির নাম-ঠিকানা নিয়ে তার বাসাসহ ওই অঞ্চল চিহ্নিত করে বিশেষ চিরুনি অভিযান চালানো হবে।
ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে গঠিত ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সমন্বয় সেল’-এ এবং দুই সিটি করপোরেশনে তথ্য পাঠানোর জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করেন মন্ত্রী।
আজ রবিবার (২৫ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এডিস মশার প্রাদুর্ভাব ও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় করণীয় ঠিক করতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এক জরুরি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘নিয়মিত মশক নিধন অভিযানের পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি যে হাসপাতালেই ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর আমাদের সেলে এবং সিটি করপোরেশনে পাঠালে ওই ব্যক্তির বাসাবাড়ি চিহ্নিত করে পুরো এলাকায় বিশেষ মশা নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অভিযান চালানোর সময় সিটি করপোরেশনের লোকজনকে বাসাবাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ আসে। অনেক সময় আক্রান্ত রোগীর আসল ঠিকানা না দিয়ে ভুল তথ্য দেওয়া হয়। এটি একজন সচেতন নাগরিকের কাজ হতে পারে না। কোথায় এডিস মশার লার্ভা আছে, তা জানালে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।’ মানুষের অংশগ্রহণ ছাড়া মশা নিধন সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন মো. তাজুল ইসলাম।
মন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে যেসব অঞ্চলকে এডিস মশার হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, অর্থাৎ যে অঞ্চল থেকে বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে, সেসব এলাকায় সোমবার (২৬ জুলাই) থেকে চিরুনি অভিযান চালানো হবে।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড, রেলওয়ে, সিভিল এভিয়েশন এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্ব-স্ব উদ্যোগে এডিস মশা নিধনে কার্যক্রম পরিচালনা করবে এবং প্রয়োজনে সিটি করপোরেশনের সহযোগিতা নেবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যক্তি হোক বা সরকারি-বেসরকারি যে প্রতিষ্ঠানই হোক—নির্মাণাধীন, পরিত্যক্ত বা যেকোনও ভবনে পানি জমিয়ে রেখে ডেঙ্গু প্রজননে ভূমিকা রাখলে, তাকে শাস্তি বা জরিমানা করে জনসম্মুখে আনতে হবে। বাসাবাড়ি, শিল্প কল-কারখানা নির্মাণ করার অধিকার সবার আছে। কিন্তু জনগণের জান-মাল ক্ষতিগ্রস্ত করার কোনও অধিকার কারোরই নেই।’
সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, গাজীপুর সিটি করপোরেশন মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ঢাকা প্রতিনিধি মোমাসুদ রানা খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.