ম্যানইউ’র সামনে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষের হাতছানি

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানটা হাতছানি দিচ্ছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। ইপিএলে বার্নলির বিপক্ষে ম্যাচটা জিতলেই, এককভাবে শীর্ষে উঠে যাবে রেড ডেভিলরা। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া দুইটায়।
টার্ফ মুরে যখন নামবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, তখন অবধারিতভাবেই একজন লোক তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষায় থাকবেন শেষ বাঁশি বাজার। যদি জয় মাল্য সেদিন ওলে’র গলায় উঠে, তাহলে যে তার চেয়ে বেশি খুশি হবেন না কেউই।
তিনি স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন। রেড ডেভিলদের ডেরা ছেড়ে যেদিন চলে গিয়েছিলেন তারপর থেকে যে কখনোই আর টেবিলের শীর্ষস্থানটা এককভাবে দখলে নিতে পারেনি তার হাতে গড়া আধুনিক এ ফুটবল ক্লাবটি। বার্নলির বিপক্ষে জয়টা তাই চাই ই চাই।

আর এ ম্যাচ দিয়েই যে ড্রেস রিহার্সাল হবে অ্যানফিল্ডের। ১৭ তারিখের সে লড়াইটা যে পরম আরাধ্য ফুটবল প্রেমীদের কাছেও। যেখানে জয়-পরাজয় ঠিক করে দেবে মৌসুমের শেষটা কেমন হতে পারে ইপিএলের।

লড়াইয়ের আগে বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছে ওলে গানার সোলশায়ার। তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দলের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন তারকা ফরোয়ার্ড এডিনসন কাভানি। এ উরুগুইয়ানকে নিয়ে যেন মুগ্ধতা শেষই হচ্ছেনা ওলে’র। নিজের অন্য সব ফরোয়ার্ডদের চেয়েও তিনি, কাভানির ওপরই নির্ভর করছেন বেশি।

ওলে গানার সোলশায়ার বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময়টাতে ও অনেক পরিশ্রম করেছে। নিজেকে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করেছে। এখন কাভানি মাঠে নামার জন্য তেতে আছে। আশা করি বার্নলির বিপক্ষে আমরা তার সেরাটা দেখতে পারবো। সে দলে থাকলে আমি অনেক অপশন পাই। সে আমার অন্য ফরোয়ার্ডদের চেয়ে আলাদা। তার ওপর নির্ভর করা যায়।

ইতিহাসও পালে হাওয়া দিচ্ছে রেড ডেভিলদের। ২০১০ এর পর থেকে কখনই ক্ল্যারেটসদের বিপক্ষে হার দেখেনি ম্যান ইউনাইটেড। এছাড়া, শেষ সাত দেখার ৫টিতেই দুইয়ের অধিক গোল করেছেন ওলে শিষ্যরা। আর ১১ দেখার ৭টিতেই ক্লিন শিট রয়েছে ডেভিড ডি হেইয়ার। বার্নলির মাঠটাকেও পক্ষে পাবে ম্যানচেস্টার। টানা ৪ ম্যাচেই এখান থেকে জয় নিয়ে ফেরত গেছে অতিথিরা।

এ ম্যাচে পয়েন্ট হারালে ১৭ই জানুয়ারি ব্যাকফুটে থেকে অ্যানফিল্ডে নামতে হবে ইউনাইটেডকে। তাই, কোনভাবেই পিছনে ফিরে তাকাতে চাইছে না লাল শিবির। জয়টা লাগবে যে কোন মূল্যে।

কোচ ওলে গানার সোলশায়ার বলেন, সেরা চারে থাকা নিয়েই এতদিন লড়াই করতাম। এখন সুযোগ এসেছে নিজেদেরকে শীর্ষে নিয়ে যাওয়ার। কোনভাবেই আমি এটাকে হারাতে চাই না। বার্নলির বিপক্ষে জিতলে, লিভারপুলের সঙ্গে আমরা এগিয়ে থেমে নামতে পারবো। এর চেয়ে ভালো কিছু মনে হয় আপনি ভাবতেও চাইবেন না।

বার্নলির সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সটাই আরও বেশি আশা দেখাচ্ছে প্রতিপক্ষকে। মৌসুম এখন পর্যন্ত যতটা এগিয়েছে তাদের চেয়ে বাজে অবস্থা মনে হয় না আর কারো আছে। ৪ জয়ে টেবিলের ১৬ নম্বর জায়গাটাই তার প্রমাণ। সময়টা কত খারাপ যাচ্ছে তা বোঝা যাবে আরেকটি পরিসংখ্যানে। মৌসুমে এখন পর্যন্ত মাত্র ৯ বার প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠাতে পেরেছে বার্নলি।

তবে, ইতিহাস বা ফর্ম দিয়ে মাঠের খেলা হয় না। জানা আছে, শন ডিচের। নিজেদের দিনটা খুঁজে পেতে তাই মরিয়া হয়েই মাঠে নামবে ক্ল্যারেটসরা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.