মোরেলগঞ্জে সরকারি রাস্তা কেটে দুই গ্রামের মানুষের ভোগান্তি চরমে


মোড়েলগঞ্জ প্রতিনিধি: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের বারইখালী ইউনিয়নে ভাষান্ডা গ্রামে একটি অপরাধ চক্রেরহাতে জিম্মি দুই গ্রামের দুইশতাধিক পরিবার।
জনগুরুত্বপূর্ন সরকারি রাস্তা কেটে জনভোগান্তি সৃষ্টি করেছে প্রভাবশালী এ মহলটি। এ ঘটনায় ভ‚ক্তভোগী গ্রামবাসি স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসকসহ গনস্বাক্ষর দিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
প্রাপ্ত অভিযোগ ও সরেজমিনে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, উপজেলার বারইখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ সুতালড়ী ভাষান্ডা গ্রামের দু’পাড়ের বসবাস দুই শতাধিক পরিবার। সিমান্তবর্তী জিউধরা, নিশানবাড়িয়া ও বারইখালী ৩টি ইউনিয়নের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম জনগুরুত্বপূর্ন ভাষান্ডা গ্রামের সরকারি এ রাস্তাটি থেকে কমিউনিটি ক্লিনিক, সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, তেতুলবাড়িয়া বাজার, আলীর বাজার সহ মোড়েলগঞ্জ শহরে আসতে প্রতিনিয়ত ৩/৪ হাজার লোকের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম।
রাস্তাটি কেটে মৎস্য ঘেরে পানি প্রবেশের পথ তৈরি করে ভোগান্তি সৃষ্টি করেছে একই এলাকার প্রভাবশালী আব্দুল ছত্তার বয়াতির পুত্র মো. কবির বয়াতি ও তার বোন মর্জিনা বেগম।
জিম্মি হয়ে পড়েছে তাদের কাছে গ্রামবাসিরা। কবির বয়াতি এলাকার একজন চিহিৃত অপরাধী। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, ঘের লুট, জমিদখল মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তার ভয়ে এলাকায় কেউ মুখ খুলে কথা বলার সাহস পায়না।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় শ্রমিক জামাল মৃধা ওই রাস্তা থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে মর্জিনাসহ তার লোকজন মারপিট করে টাকা ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় বাসিন্দা আলম হাওলাদার (৫০) জলিল মৃধা (৬০), চান মিয়া হাওলাদার (৬৫), জালাল হাওলাদার (৩৪) শাহিন হাওলাদার সহ শতাধিক গ্রামবাসি অভিযোগ করে বলেন, রাস্তা কেটে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা দুই গ্রামের মানুষ কবির ডাকাতের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছি। আমরা শান্তিতে বসবাস করতে চাই। আমাদের চলাচলের রাস্তা পুর্নরায় ফিরে পেতে পারি এ জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।
এ সর্ম্পকে বারইখালী ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান লাল বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, সরকারি রাস্তা কেটে চলাচলে বিঘ্ন ঘটানোর অধিকার নেই কারোর। বিষয়টি তাৎক্ষনিক শুনে রাস্তা ভরাট করার জন্য একাধিকবার বলা হয়েছে। কোন কর্নপাত করছে না, উর্দ্ধতন প্রশাসনকে অবহিত করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, রাস্তা কেটে জনভোগান্তির অভিযোগের বিষয়ে কবির বয়াতিকে একাধিকবার তার দপ্তরে ডাকা হয়েছে তিনি আসেনি। তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঘের ব্যবসায়ী কবির বয়াতির বোন মর্জিনা বেগম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, তার পৈত্তিক সম্পত্তিতে ১৯৯৪ সাল থেকে ঘের করে আসছে। তিনি কোন সরকারি রাস্তা কাটেনি। তার জমি কেটে ঘেরের পানি নিষ্কাশনের পয়েন্ট কেটেছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর মোড়েলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি এম.পলাশ শরীফ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.