মোরেলগঞ্জে ইচ্ছামাফিক বিদ্যালয়ে যাচ্ছেন একাধিক শিক্ষক  


মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইচ্ছামাফিক স্কুলে যাচ্ছেন ৩ শিক্ষক। সরকারি নির্দেশনা সময়সূচির কোন তোয়াক্কা না করে নিজেদের ইচ্ছায় স্কুলে হাজিরা দিয়ে দিন পার করছেন। সংশ্লিষ্ট ক্লাষ্টারের কর্মকর্তার নেই তদারকি। স্কুল ভবনে প্রাক-প্রাথমিকের একই শিক্ষার্থীরা গণশিক্ষাকেন্দ্রে পাঠদান নিতে দেখা গেছে।
রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, উপজেলার মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নে ১১৯ নং মধ্য বিশারীঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সময়সূচি সকাল ৯টায় থেকে ৪ টা পর্যন্ত সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সকল শিক্ষকের উপস্থিতির কথা থাকলেও চিত্র রয়েছে ভিন্ন। শিক্ষার্থীরা হৈ-চৈ করে বাহিরে সময় পার করছেন।
বিদ্যালয়ে কর্মরত ৬ জন শিক্ষক থাকলেও প্রধান শিক্ষক ইয়াসমিন আক্তার, সহকারি শিক্ষক ইসরাত জাহান ও স্বপ্না রানী দাস যথাসময়ে উপস্থিত হলেও সহকারি শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসি, মো. অহিদুর রহমান ও বৃত্তি রানী বল ৩ শিক্ষক পর্যায়ক্রমে ঘন্টাব্যাপী ব্যবধানে বিদ্যালয়ে হাজিরা দিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা বলছেন প্রতিদিন ক্লাশ বসছে ১০ টায়। প্রধান শিক্ষক বলছেন সোয়া ৯টায়। নির্দিষ্ট সময়ে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেনীকক্ষে ২-৪ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকলেও অন্য একটি শ্রেনীকক্ষ দেখা গেছে ফাঁকা। বিদ্যালয়টিতে মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ১৮৫ জন।
শিক্ষার মানন্নোয়নে সরকারিভাবে উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষুদ্র মেরামত, স্লিপের টাকা, রুটিন ম্যানটেনেন্সসহ বিভিন্ন বরাদ্দ পেলেও সে অর্থ বরাদ্দ যথাযথ ব্যয় না করারও অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের। স্কুলের শিক্ষার্থীদের শিখন কার্যক্রম ব্যবহৃত ল্যাপটবটি রয়েছে সহকারি শিক্ষক অহিদুর রহমানের বাড়িতে।
প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসি অভিযোগ তুলেছেন এ বিদ্যালয়ের ২য় তলায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গনশিক্ষা কেন্দ্রের ক্লাশ চলছে দীর্ঘদিন ধরে সেখানে তার শিক্ষার্থীরা। ওই শিশুদের পাঠদান শেষ হয় ১০ টায়। তারপরে শুরু হয় প্রাক-প্রাথমিকের ক্লাশ এ কারনেই তিনি দেরি করে আসেন বিদ্যালয়ে। প্রাক ও গনশিক্ষা কেন্দ্রের একই ছাত্রের বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে বলেও সুরহা হয়নি বলে অভিযোগ ওই সহকারি শিক্ষকের। বিদ্যালয়ে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন ঝুলানো থাকলেও নেই কার্যক্রম। ক্রয়কৃত মেশিনের অর্থ গেছে ভেস্তে।
এ সর্ম্পকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াসমিন আক্তার বিটিসি নিউজকে বলেন, বিদ্যালয়ে নিয়মিত সোয়া ৯টায় ক্লাশ শুরু হয়।  শিশু শিক্ষার্থীরা ভুল করে ১০ টার কথা বলেছেন। আজ একটু দেরি হয়েছে। পরবর্তীতে এ রকম থাকবে না। তার প্রাকের শিক্ষার্থীদের গনশিক্ষা কেন্দ্রে ছাত্র দেখানো হয়েছে সে বিষয়টিও উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. জালাল উদ্দিন খান বিটিসি নিউজকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা সময়সূচি না মেনে বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের বিলম্বের হাজিরা বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে|
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি এম.পলাশ শরীফ গনেশ পাল। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.