ঈশ্বরদীতে ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজির অভিযোগ 

ক্রাইম (পাবনারিপোর্টার: সারা দেশের ন্যায় ঈশ্বরীতেও লাইসেন্স বিহীন গাড়ী এবং চালকের অবাধ বিচরণ ছিল বিদ্যমান। কিন্তু সেই বিদ্যমান পরিস্থিতিকে সামলাতে এবং সড়ক ও মহাসড়কে বৈধ কাগজপত্রসহ চালকের সচেতনতার যে উজ্জল দৃষ্টান্ত তৈরী করেছেন যিনি তিনি হলেন ঈশ্বরদী ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট অপর্নিতা বৈরাগী।
ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট অপর্নিতা বৈরাগীর বিচক্ষনতার আলোচনায় যখন সারা ঈশ্বরদী মাতোয়ারা ঠিক তখনই তার উপস্থিতিতেই ট্রাফিক সদস্যদের ঘুষ বানিজ্য সেই বিচক্ষনতার মুখে ছাই ঢালা হচ্ছে বলে মন্তব্যে পঞ্চমুখ পুরো ঈশ্বরদীবাসী।
এমনই এক ঘটনা ঘটেছে ঈশ্বরদী রেলগেট এলাকায় গতকাল শনিবার (২৭ আগস্ট) রাত আনুমানিক ৮ ঘটিকার দিকে। এমনই একটি ভিডিও এসে পৌঁচেছে আমাদের হাতে। ভিডিও এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে জানাযায়, ঈশ্বরদী পৌরসভার রেলগেট এলাকায় সরেজমিনে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ’র প্রতিনিধি এই ঘুষ লেনদেনের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন।
তিনি জানান, লালপুর থেকে ফুড এ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানির পন্য সরবরাহকারী গাড়ি সারাদিনের কর্মশেষে ঈশ্বরদীতে ফেরার পথে ঈশ্বরদী রেলগেট ট্রাফিক চেকপোস্টে কর্মরত ট্রফিক পুলিশ পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য গাড়িটিকে থামান এবং গাড়ির রোড পার্মিট নাই, এই গাড়ি নিয়ে রাস্তায় কেন আসছেন বলে নানান প্রশ্ন করেন চালক সুমনকে।
এসময় ট্রাফিক কনস্টেবল জাহিদুল গাড়ির চালকের নাম ঠিকানা লিখতে থাকেন। গাড়ি চালক সুমনের নাম ঠিকানা লিখে নেওয়ার পরে মালিকের সাথে চালকের মোবাইল দিয়ে কথা বলেন কর্তব্যরতরা। পরে গাড়ির চালক সুমনকে রেলওয়ের লোহার গেটের কাছে এসে জনৈক এক পেয়ারা ব্যবসায়ীর নিকট ঘুষের টাকা বুঝিয়ে দিয়ে দ্রুত গাড়ীর ড্রাইভার তার গাড়ীটি নিয়ে সটকে পড়ে। এখন প্রশ্ন হলো গাড়ীটি আটকের পড় পকেট থেকে নোট বুক বের করে নাম ঠিকানা লিখে নিয়ে ট্রাফিকের সদস্য জাহিদুল ইসলাম পেয়ারা বিক্রেতার কাছে গেলেন ?
অপরদিকে এটিএসআই মোজ্জামেল হোসেন কর্ম স্থালে থেকে পেয়ারা বিক্রেতার পাশে বসে কি কথা বলছেন তা জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, এভাবেই ট্রাফিক পুলিশ দালাল ও সিন্ডিকেটের যোগসাজশে প্রতিনিয়ত ঘুষ গ্রহণ করে থাকেন। পরে ট্রাফিক কনস্টেবল জাহিদুল কে ঘুষ লেনদেনের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে, তিনি পরিচয় জানতে চান। সংবাদ কর্মী পরিচয় পাওয়ার পর তিনি বিষয়টি সমঝোতা করার চেষ্টা করেন বলেও স্বত:কন্ঠ প্রতিনিধি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট অপর্নিতা বৈরাগী বিটিসি নিউজকে বলেন, এবিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। অথচ ট্রাফিক সার্জেন্ট ও এটিএসআই মোজ্জামেল যে জায়গাতে অবস্থানরত ছিলেন তার মাত্র ১০ ফিটের মধ্যে এমন লেনদেন কিভাবে তিনি দেখতে পেলেন না সেটা নিয়েও উপস্থিত জনতার কৌতুহলের শেষ নাই।
তাছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলগেট এলাকার একজন ব্যবসায়ী বিটিসি নিউজকে বলেন, যেখানে মহিলা সার্জেন্ট অপর্নিতা বৈরাগীর নজর এড়িয়ে একটি গাড়িও পাড় হতে পারে না সেখানে তার উপস্থিতিতেই এমন প্রকাশ্য ঘুষ বানিজ্য এ যেন সরিষার মধ্যেই ভূত।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ক্রাইম (পাবনারিপোর্টার মো: ময়নুল ইসলাম লাহিড়ী মিন্টু। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.