বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে ২ জন নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারী) দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে প্রতিবাদকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি ছুড়লে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
রয়টার্স জানিয়েছে, মান্দালয়ে পুলিশের কাঁদুনে গ্যাস ও গুলির মুখে কিছু প্রতিবাদকারীরা গুলতি ছুড়ে জবাব দেয়।
এ সময় পুলিশের পাল্টা জবাবে দুই জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন। তবে পুলিশ তাজা গুলি ছুড়েছে না রবার বুলেট ব্যবহার করেছে প্রাথমিকভাবে তা পরিষ্কার হয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
এদিন মিয়ানমারের বেশ কয়েকটি শহরে অভ্যুত্থান বিরোধীরা রাস্তায় নেমে এসে সামরিক শাসনের অবসান ও নেত্রী অং সান সু চিসহ অন্যান্যদের মুক্তির দাবীতে শ্লোগান দেয়।
গত ৯ ফেব্রুয়ারী সেনাবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়লে তা সহিংস হয়ে ওঠে। তখন তাজা গুলিতে আহত অন্তত দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন।
গতকাল শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) বেলা ১১টায় মিয়া থট থট খিয়াংয় নামে এক নারীর মৃত্যুর মাধ্যমে প্রথম কোনো মৃত্যুর খবর আসে।
এদিকে অভ্যুত্থানের পর দুই সপ্তাহের মধ্যে মিয়ানমারে সর্বাত্মক রূপ নিয়েছে আন্দোলন-সংগ্রাম। এতে যোগ দিয়েছে কৃষক-শ্রমিক-মজুর থেকে শুরু করে দেশের সর্বস্তরের মানুষ।
বিশেষ করে শহরের শিক্ষিত ও রাজনীতি সচেতন নাগরিকদের একটা বড় অংশই আন্দোলনে শামিল হয়েছে।
রাস্তার বিক্ষোভের সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বেশ সরব এই অভ্যুত্থান বিরোধীরা। প্রতিদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষে রাতের বেলা একবার নিজেদের ফেসবুক বা টুইটারের নিউজফিড বা ইনবক্স চেক করেই ঘুমাতে যায়।
আগামী দিন সকালে কি কি বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে তা আগে ভাগে জেনে রাখাই উদ্দেশ্য। তবে নিউজফিড বা ইনবক্সের ম্যাসেজ বা বার্তাগুলোর বেশীর ভাগই এক ধরনের কোড তথা বিশেষ সাংকেতিক ভাষায় লেখা।
প্রধানত সেনা-পুলিশের চোখে ধুলো দিতেই এটা করা হয়ে থাকে। অভ্যুত্থানের পর থেকে চলতি সপ্তাহ পর্যন্ত এভাবেই চলে আসছে।(সূত্র: রয়টার্স)। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.