ভারতে বন্যার পানি কমলেও বৃষ্টি বাড়িয়েছে আতঙ্ক

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের যমুনা নদীর পানি বিপদসীমা অতক্রম করে প্রবাহিত হলে দেখা দেয় ভয়াবহ বন্যা। সম্প্রতি যমুনা নদীর পানির স্তর কমতে শুরু করেছে। তবে পানির স্তর কিছুটা কমতে শুরু করলেও প্রবল বৃষ্টি আবারও আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এই প্রবল বৃষ্টির জন্য দিল্লির বেশকটি এলাকায় তীব্র যানজট এবং জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। যেখানে বন্যার জন্য আগে থেকেই গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো ডুবে ছিল, সেখানে ভারী বর্ষণ বাড়িয়েছে জনগণের ভোগান্তি।
রোববার (১৬ জুলাই) সকাল ৬ টায় যমুনা নদীর পানির স্তর রেকর্ড করা হয়েছে। গত সপ্তাহে যমুনা নদীর পানির স্তর ছিল ২০৮ দশমিক ৬৬ মিটার।
বন্যার পানি নিষ্কাশন করতে বেশি সময় নিচ্ছে বলে বৃষ্টি কর্তৃপক্ষের দুর্দশা বাড়িয়ে দিয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বন্যার পানি এবং বৃষ্টির পানি এক হয়ে রাস্তাগুলো পরিণত হয়েছে ছোট নদীতে। মানুষ রাস্তায় ছোট নৌকা নিয়ে চলাচল করে শুরু করেছে। এমন অবস্থায় উদ্ধারকারী দল রাস্তার কুকুর এবং গবাদিপশু গুলোকে উদ্ধার করা শুরু করেছে।
বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন,”বন্যার পানি নিষ্কাশনে জন্য যমুনা ব্যারেজের পাঁচটি গেট খোলার চেষ্টা করা হচ্ছে, যার মধ্যে কয়েকটি পলি দিয়ে জমে আছে। আইটিও ব্যারেজের প্রথম জ্যামড গেট খোলা হয়েছে। শীঘ্রই পাঁচটি গেট খুলে দেয়া হবে। আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।”
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার দুই দেশে আন্তর্জাতিক সফর শেষে ফিরলে ত্রাণ বিতরণ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা। লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী সমস্ত সাহায্য এবং কেন্দ্রীয় সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
স্থানীয় সরকার যানজট ব্যবস্থাপনা এবং যাত্রীদের সহায়তার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ৪ হাজার ৫০০ ট্রাফিক কর্মী মোতায়েন করেছে। নগরীর চার সীমান্ত দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছাড়া ভারী পণ্যবাহী যানবাহনের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দিল্লি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারি অফিস, স্কুল ও কলেজ রোববার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.