ভারতকে ধর্মীয় স্বাধীনতা বজায় রাখার আহ্বান আমেরিকার

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে আরও একবার মুখ খুলল আমেরিকা। তবে প্রত্যক্ষ কোনো সমালোচনা নয়। জো বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, ‘ভারতে বিভিন্ন ধরনের ধর্মাবলম্বী মানুষের বসবাস। ভারত সরকার যাতে দেশে বসবাসকারী প্রতিটি মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার প্রতিশ্রুতি বজায় রাখতে পারে, তার জন্য বাইডেন প্রশাসন সর্বদা উৎসাহ জুগিয়ে যাবে।’
গত সপ্তাহে মার্পকিন ররাষ্ট্রসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ধর্মীয় স্বাধীনতার নিরিখে ১২টি দেশকে ‘নির্দিষ্ট উদ্বেগ’ (কান্ট্রিজ় অব পার্টিকুলার কনসার্ন)-এর আওতায় ফেলেন। যার মধ্যে রয়েছে চীন, পাকিস্তান, মিয়ানমারের মতো দেশের নাম।
ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘পুরো বিশ্বে এমন কিছু দেশের সরকার ও রাষ্ট্র বহির্ভূত শক্তি রয়েছে যারা বিশেষ কিছু ধর্মের মানুষকে প্রতিনিয়ত হেনস্থা করছে, ভয় দেখাচ্ছে, জেলে পুরছে অথবা তাদের হত্যা করছে।’ আমেরিকার বিভিন্ন সংগঠন ও লবির চাপ সত্ত্বেও ভারতকে সেইসব দেশের আওতায় ফেলেননি ব্লিঙ্কেন।
আমেরিকান পররাষ্ট্রসচিব কেন তা করেননি, গতকাল এক সাংবাদিক বৈঠকে জানতে চাওয়া হয়। ব্লিঙ্কেনের হয়ে জবাব দিয়েছেন নেড প্রাইস। জানিয়েছেন, ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ এবং সেখানে নানা ধর্মীয় বিশ্বাসের লোকের বাস। তার কথায়, ‘আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে আমাদের যে বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়, তাতে ভারতের ক্ষেত্রে কিছু কিছু উদ্বেগজনক পরিস্থিতি আমরা লক্ষ করেছি। আমরা প্রতিটি দেশের ধর্মীয় স্বাধীনতার উপরে কড়া নজর রাখি, যার মধ্যে ভারতও পড়ে।’
তবে সেইসঙ্গে প্রাইস জানান, পররাষ্ট্রসচিব পর্যালোচনা করে দেখেছেন যে ভারতে পরিস্থিতি ততটাও উদ্বেগজনক নয়, যতটা বাকি ১২টি দেশে। এর পরেই তিনি জানান, ভারত যাতে তার নাগরিকদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও অধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি বজায় রাখতে পারে, তার জন্য আমেরিকা উৎসাহ জুগিয়ে যাবে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.