বড়াইগ্রামে মোবাইল কিনে না দেয়ায় স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা


নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রামে মোবাইল কিনে না দেয়ায় সজনী খাতুন (১৭) নামে এক স্কুলছাত্রী গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আজ শনিবার ভোরে বড়াইগ্রাম পৌরসভার লক্ষীকোল পুরাতন হল মোড় এলাকার ভাড়া বাসার নিজ শোবার ঘর থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত সজনী কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার মাদারপুর গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী শিপন রানার বড় মেয়ে। সে দৌলতপুরের একটি স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।

নিহতের স্বজনরা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, ৬-৭ মাস যাবৎ সজনী মা ও তিন বোনের সঙ্গে লক্ষীকোল পুরাতন হল মোড় এলাকার একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিল। সম্প্রতি সে একটি স্মার্ট ফোন কিনে দেয়ার বায়না ধরে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে কাজ না থাকায় তার মালয়েশিয়া প্রবাসী বাবা আপাতত মোবাইল কিনে দিতে রাজী হননি। এতে ক্ষোভে অভিমানে শুক্রবার রাতের যে কোন সময় সজনী তার শোবার ঘরের ফ্যানের সঙ্গে শাড়ি বেঁধে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন। ভোরে ঘুম থেকে উঠে তার মা তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানার ইন্সপেক্টর সুমন আলী বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.