রাবি প্রতিনিধি: ব্রেইন টিউমারের আক্রান্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রূপা খাতুন বাঁচতে চায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির পরে কুষ্টিয়ার এক বাস কাউন্টারের সাথে বিয়ে হয় ঝিনাইদহ জেলার এই রাবি শিক্ষার্থী রূপার।
২০১৯ সালে তার গর্ভে ফুটফুটে একটি সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু সন্তান প্রসবের সময় ব্রেইনে পানি জমে যাওয়ার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। যার ফলে
গত এক বছর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কয়েক ধাপে চিকিৎসা নিচ্ছে রূপা। কিন্তু চিকিৎসা নেয়ার পরেও মাথা ব্যাথা, বমি, মুখ বাঁকা হয়ে যাওয়া সহ যাবতীয় সমস্যা না কমায় তার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
পরে মাথার এমআরআই স্ক্যান করলে ব্রেইন টিউমার ধরা পড়ে এই রাবি শিক্ষার্থীর। যার ফলে খুব দ্রুত উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে তার একটি মেজর ব্রেইন অপারেশন করতে বিদেশ নেয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তারগণ।
সব দিক বিবেচনা করে মেয়ের উন্নত চিকিৎসায় দ্রুত সুস্থ করতে চেন্নাই নিতে চান তার পরিবার। যেখানে তার চিকিৎসা বাবদ খরচ পড়বে প্রায় ৭ লাখ টাকা। যা এই মহুর্তে তার পরিবারের পক্ষে বহন করা খুবই দুষ্কর। তারপরেও মেয়েকে বাঁচাতে অনেক কষ্টে সর্বসাকুল্যে প্রায় ৪ লাখ টাকার ব্যবস্থা করেছে তার পরিবার। কিন্তু চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন আরো প্রায় ৩ লাখ টাকা। যেটা ৭ দিনের মধ্যে তার পরিবারের পক্ষে সংগ্রহ করা প্রায় অসম্ভব।
এদিকে অসুস্থ রাবি শিক্ষার্থী রূপার কোলে দেড় বছরের একটি ফুটফুটে সন্তান। মাকে ছাড়া বাকিটা জীবন দুনিয়াতে কিভাবে থাকবে এমন চিন্তায় হতাশ তয়ে সকলের কাছে সহযোগিতার কামনা করেছেন তার অসহায় পরিবার।
এ বিষয়ে নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১৮ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাব্বি হাসান বলেন, বিভাগের শিক্ষার্থীরা মিলে আমরা সরাসরি ও অনলাইনের মাধ্যমে প্রায় ২২ হাজার টাকা তুলতে সক্ষম হয়েছি।
সমাজের সহৃদয় ব্যক্তিবর্গের একান্ত সহযোগীতায় বাঁচতে পারে অসহায় দুটি প্রাণ এবং ফিরে পেতে পারেন তারা আবার একটি সুস্থ জীবন। মায়ের কোলে বসে হাসি ফুটতে পারে দেড় বছরের সেই ফুটফুটে শিশুটির মুখে বলে জানান তিনি। এমতাবস্থায় অসুস্থ রূপার চিকিৎসার জন্য সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.