বেনাপোলে নিলাম অযোগ্য ৫০ মেট্রিক টন পণ্য পুড়িয়ে ধ্বংস

যশোর প্রতিনিধি: বেনাপোল কাস্টম হাউসের শুল্ক গুদামে বাজেয়াপ্তকৃত নিলাম অযোগ্য প্রায় ৫০ মেট্রিক টন পণ্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আদেশে পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন সময়ে জব্দকৃত পণ্যগুলো দীর্ঘদিন বেনাপোল কাস্টম হাউসের গোডাউনে থাকায় সেগুলো ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে।

আজ সোমবার (০২ নভেম্বর) দুপুরে বেনাপোলের খড়িডাঙ্গা ইট ভাটা ও বেনাপোল পৌরসভার আমড়াখালি নামক পৃথক ২টি স্থানের ফাঁকা মাঠে এসব পণ্য পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। ধ্বংস করা পণ্যগুলো হলো ৬ মেট্রিক টন বিভিন্ন প্রকার আতসবাজি, মাদক দ্রব্য, সিগারেট, ওষুধ, প্রসাধনী সামগ্রীসহ বিভিন্ন প্রকার পণ্য।

ধ্বংসযোগ্য পণ্য বিনষ্টকরণ কমিটির আহবায়ক অতিরিক্ত কাস্টমস কমিশনার ড. মো: নেয়ামুল ইসলামের নেতৃত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য সচিব কাস্টমসের উপ কমিশনার বিল্লাল হোসেন, সদস্য শার্শা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাসনা শারমিন মিথি, নাভারন সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ জুয়েল ইমরান, বেনাপোল স্থলবন্দরের সহকারি পরিচালক (ট্রাফিক) আতিকুল ইসলাম, পৌর সভার সহকারি প্রকৌশলী আবু সাঈদ খান, ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ তৌহিদুর রহমান, যশোর পরিবেশ অদিদপ্তরের পরিদর্শক শরিফুল ইসলাম, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অদিদপ্তরের পরিদর্শক বিশ^াস মফিজুল ইসলাম, বেনাপোল বিজিবি‘র হাবিলদার সাহেব আলীসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা।

বেনাপোল কাস্টম হাউজের উপ-কমিশনার এস এম শামীমুর রহমান বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মো: আজিজুর রহমানের নির্দেশনায় পণ্য ধ্বংসের জন্য গঠত কমিটির সদস্যবৃন্দের তত্ত্বাবধানে ১০টি ট্রাকে প্রায় ৫০ মেট্রিক টন মালামাল বেলা আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ধ্বংস কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।

সর্বশেষ বেনাপোল কাস্টম হাউজে পণ্য ধ্বংস করা হয়েছিল ২০১৩ সালে। সম্প্রতি লেবাননের বৈরুতে বিস্ফোরক দুর্ঘটনার পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা মোতাবেক এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় বলে তিনি জানান।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর যশোর প্রতিনিধি শফিক ইসলাম। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.