বিএফইউজে নির্বাচন বন্ধে আদালতে মামলা, কারণ দর্শানোর নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) নির্বাচন বন্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মামলা নম্বর ৮/২০২১।
আজ মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজশাহী বিভাগীয় শ্রম আদালতে নির্বাচন বন্ধে মামলা এবং অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন রাজশাহী প্রেসক্লাব সভাপতি সাইদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আসলাম-উদ-দৌলা। তারা দু‘জন রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নেরও (আরইউজে) সদস্য। মামলার পর প্রাথমিক শুনানি শেষে নির্বাচন কেন বন্ধ হবে না- তা জানতে চেয়ে আগামী ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন বিভাগীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান গোলোক চন্দ্র বিশ্বাস।
শুনানিতে বাদিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন রাজশাহী অ্যাডভোকেট বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য মুহাম্মদ আতিকুর রহমান ইতি। মামলায় ৬ জনকে প্রতিপক্ষ করা হয়।
তারা হলেন- বিএফইউজে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি-২০২১ এর চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান সরদার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজি গিয়াস, নির্বাচন কমিশনার তৈয়বুর রহমান, আরইউজে সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হক এবং রেজ্রিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়ন রাজশাহী বিভাগের যুগ্ম শ্রম পরিচালক। এদের মধ্যে প্রথম তিনজনের কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার আরজিতে বলা হয়, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন, রেজিস্ট্রেশন নম্বর- রাজ ১০৮৮, ৬ নম্বর প্রতিপক্ষের দপ্তর থেকে রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত এবং নিবন্ধিত রাজশাহীতে কর্মরত পেশাদার সাংবাদিকদের একটি ট্রেড ইউনিয়ন। ট্রেড ইউনিয়নটি ৬ নম্বর প্রতিপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত গঠনতন্ত্র, বাংলাদেশ শ্রম আইন এবং ৬ নম্বর প্রতিপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক পরিচালিত এ নিয়ন্ত্রিত হওয়ার কথা থাকলেও রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন, রেজিস্ট্রেশন নম্বর- রাজ ১০৮৮ এর ক্ষেত্রে উপরোক্ত নিয়মের ব্যতিক্রম দেখা যায়। ৪ ও ৫ নম্বর প্রতিপক্ষ এ ইউনিয়নটির বর্তমান নেতৃবৃন্দ ইউনিয়ন পরিচালনার ক্ষেত্রে এটার গঠনতন্ত্র বা বাংলাদেশ শ্রম আইন ও বিধির কোনোরূপ তোয়াক্কা করে না।
আরজিতে আরো বলা হয়, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন, রেজিস্ট্রেশন নম্বর- রাজ ১০৮৮ বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন নম্বর বি-২১৯১ এর অন্তর্ভুক্ত একটি ইউনিয়ন।
ইউনিয়নটির বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি চরম স্বেচ্ছাচারিতায় লিপ্ত রয়েছে। ৪ ও ৫ নম্বর প্রতিপক্ষ তাদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ইউনিয়নটির ভেতরে এক অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। এ মামলার আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে তারা লিপ্ত রয়েছে গভীর ষড়যন্ত্রে।
এছাড়া ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত আরইউজের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে প্রকাশিত ভোটার তালিকায় এ মামলার এক নম্বর আবেদনকারীর নাম ৩৮৫২ এবং দুই নম্বর আবেদনকারীর নাম ৩৯০২ ক্রমিকে ছিল। কিন্তু ২০২১ সালের নির্বাচন উপলক্ষে প্রকাশিত ভোটার তালিকায় এ দুইজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
গত ১২ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত নির্বাচনী বিজ্ঞপ্তির নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আহমদ শফি উদ্দীন ও হাসান মিল্লাতের নাম উল্লেখ করা হলেও ৪ ও ৫ নম্বর প্রতিপক্ষ অত্যান্ত গোপনে অসৎ উদ্দেশ্যে দুই ভোটারের নাম বাদ দিয়ে তাদের আজ্ঞাবাহী দুই ও তিন নম্বর প্রতিপক্ষকে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব প্রদান করেছে। ৪ ও ৫ নম্বর প্রতিপক্ষের অন্যায় ও অপকর্মের প্রতিবাদ করায় এবং মামলার আবেদনকারীরা ২০২১ সালের নির্বাচনে যাতে অংশ নিতে না পারেন, সেজন্য অন্যায় ও বেআইনীভাবে ভোটার তালিকায় নাম বাদ দেয়া হয়েছে। এতে এ দুইজনের আইনানুগ অর্জিত অধিকার খর্ব হচ্ছে।
মামলায় তারা ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত, ২০২১ সালের নির্বাচনী তফসিল বাতিল, আরইউজের নির্বাচন-২০২১ এর যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ ও আসন্ন বিএফইউজের নির্বাচন বন্ধে অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। মামলাটি পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য হয় এবং শুনানী শেষে নির্বাচন কেন বন্ধ হবে না- তা জানতে চেয়ে আগামী ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন বিভাগীয় শ্রম আদালত।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি সাইদুর রহমান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.