বরিশালে খেয়াঘাটে ১০ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা ॥ ভোগান্তিতে যাত্রী

 

বরিশাল ব্যুরোস্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে উপজেলা নিবার্হী অফিসারের নির্দেশকে অমান্য করে স্থানীয় প্রভাবশালী ইজারাদার ও তার ভাড়াটিয়া মাস্তানদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে বরিশালের মুলাদী উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ মৃধারহাট থেকে ভেদুরিয়া খেয়াঘাটে প্রতিনিয়ত যাতায়াতকারী কয়েক হাজার যাত্রী।

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের টানিয়ে দেয়া ভাড়ার তালিকায় ১০ টাকার ভাড়া জোরপূর্বক আদায় করা হচ্ছে ৫০ টাকা। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেও কোন সুফল পাননি ভূক্তভোগীরা। ফলে প্রতিদিন এ খেয়াঘাট দিয়ে যাতায়াতকারী যাত্রীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ওই খেয়াঘাটের ইজারাদার ছবদের খান ও তার সহযোগী মতি খান, মুরাদ খান, মকবুল বেপারীর ভাড়াটিয়া জাকির মাতুব্বর, রুস্তুম সরদার, কালাম বেপারী, মকবুল বেপারী স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে উপজেলা প্রশাসনের নিদের্শকে অমান্য করে নিজেদের ইচ্ছেমতো ঘাটটি পরিচালনা করে আসছে। শুরু থেকেই জনপ্রতি ১০ টাকার ভাড়া আদায় করা হচ্ছে ৫০ টাকা করে। প্রতিটি মোটরসাইকেল থেকে ৩০ টাকার স্থলে ১০০ টাকা করে আদায় করা হয়।

সন্ধ্যা হলেই এ ভাড়া দুই থেকে তিনগুন বৃদ্ধি পায়। এমনকি স্কুল-কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও সমপরিমান ভাড়ার টাকা আদায় করা হচ্ছে। এ মনগড়া ভাড়ার কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে লাঞ্ছিত হতে হয় ঘাটে অবস্থানরত ভাড়াটিয়া মাস্তানদের হাতে।

বৃহস্পতিবার দিনভর সরেজমিনে দেখা গেছে, ইজারাদার ও তাদের ভাড়াটিয়া মাস্তানরা যাত্রী জিম্মি করে খেয়াঘাটের নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মহসিন উদ্দিন খান ও ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বজলুর রহমান বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার যেখানে ভাড়ার তালিকা ঝুঁলিয়ে দিয়েছেন সেখানে এলাকায় অসহায় ব্যক্তিদের কাছ থেকেও খামখেয়ালিভাবে ইজারাদারের লোকজনে টাকা আদায় করছেন। এনিয়ে প্রতিদিনই ঘাটে যাত্রীদের সাথে বাগ্বিতন্ডা এমনকি হাতাহাতির ঘটনা লেগেই রয়েছে। বিষয়টি একাধিকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেও কোন সুফল মেলেনি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে ইজারাদার ছবদের খানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর এ ব্যাপারে সংবাদ প্রকাশ না করে তার সাথে দেখা করার অনুরোধ করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাকির হোসেন যাত্রী হয়রানীর অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শীঘ্রই আকস্মিকভাবে খেয়াঘাট পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.