কলকাতা-হাওড়া (ভারত) প্রতিনিধি: ঘাটালের বন্যা নিয়ন্ত্রণে অবিলম্বে মাস্টারপ্ল্যানের অনুমতি দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছে দাবি জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, বারবার বলা সত্ত্বেও অনুমতি মিলছে না। পরিণতিতে বর্ষা এলেই জলে ডুবে যাচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকা।
মাস্টারপ্ল্যানের অনুমোদনের দাবিতে রাজ্যের জলসম্পদ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, স্থানীয় সাংসদ দেব এবং বিধায়ক জুন মালিয়াকে দিল্লিতে গিয়ে দরবার করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সেচমন্ত্রীর সঙ্গে।
আজ মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) ঘাটালের বন্যা-কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝাড়গ্রাম থেকে হেলিকপ্টারে ঘাটালে পৌঁছনোর পথে উপর থেকেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি।
পরে সেখানে পৌঁছে দুর্গত মানুষজনের হাতে তুলে দেন ত্রাণসামগ্রী। কথা বলেন তাঁদের সঙ্গে। সাংসদ দেবের কাছেও এলাকার খোঁজখবর নেন।
প্রায় ১১ দিন ধরে জলবন্দি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল। স্বাভাবিকভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর কথায় গভীর উদ্বেগের প্রতিফলন। বললেন, ‘ঝাড়গ্রাম থেকে আসার পথে হেলিকপ্টার থেকে সব দেখেছি। বাড়ি-ঘর-মাঠ-দোকান সব ভেসে গেছে।
ভয়াবহ অবস্থা। বারবার বলা সত্ত্বেও ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে অনুমোদন দিচ্ছে না কেন্দ্র। অথচ এই প্ল্যান কার্যকর না হলে বাঁচানো যাবে না ঘাটালকে।’
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, নিম্ন দামোদর অববাহিকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্য সরকার বরাদ্দ করেছে ২৮০০ কোটি টাকা। চেক ড্যামের জন্য মঞ্জুর করা হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা।
কপালেশ্বর-কেলেঘাই প্রকল্পে ৭০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ঘাটালে বন্যায় মৃত ১৯ জনের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে দে
সব মিলিয়ে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানকে কেন্দ্র করে এবারে কেন্দ্রের উপরে চাপ বাড়াতে চাইছে রাজ্য।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.