বকশীগঞ্জে বন্যা-বৃষ্টিতে নাজেহাল বানভাসিরা


বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি: জামালপুরের বকশীগঞ্জে ২১ দিন ধরে বন্যার সাথে যুদ্ধ করছে চার টি ইউনিয়নের ৬০ হাজার মানুষ । দু দফা বন্যার সাথে গত চার দিন ধরে যোগ হয়েছে থেমে থেমে বৃষ্টি। বন্যা আর বৃষ্টিতে নাজেহাল অবস্থা হয়েছে বন্যা কবলিত এলাকার বানভাসিদের।

একদিকে পানিবন্দি অন্যদিকে বৃষ্টির কারণে ঘর হতে বের হতে পারছেন না বানভাসি মানুষ। একারণে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েেেছ বন্যা দুর্গত এলাকায়। এতে করে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।

জানা গেছে, গত ১২ জুলাই থেকে বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন, মেরুরচর, নিলক্ষিয়া ও বগারচর ইউনিয়নে দ্বিতীয় দফা বন্যা শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় দফা বন্যায় ৬০ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন। বন্যার পানি প্লাবিত হওয়ায় সাধুরপাড়া ইউনিয়নের বিলেরপাড়, আচ্চাকান্দি, মদনের চর, কুতুবের চর, ঠান্ডার বন্দ, উত্তর আচ্চাকান্দি, জোনাইবাড়ী গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

বানভাসি মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে সংকট উত্তোরণের চেষ্টা করছেন। গরু,ছাগল, হাঁস মুরগী নিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগে রয়েছেন বানভাসি এলাকার মানুষ। স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন বন্যার্তরা।

বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। চার দিন ধরে বৃষ্টির কারণে বানভাসিরা ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। বন্যা আর বৃষ্টির কারণে মানুষের দুর্ভোগ আরো বেড়ে গেছে। একদিকে বন্যা অন্যদিকে বৃষ্টিতে তারা নাজেহাল হয়ে পড়েছেন।

এবারের বন্যায় বন্যার্ত এলাকায় ত্রাণ বিতরণের খবর পাওয়া যায় নি। তবে প্রতিটি ইউনিয়নে ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হয়েছে। প্রথম দফা বন্যায় ২১ মেট্রিক টন চাল বিতরণ হলেও দ্বিতীয় দফায় কোন ত্রাণ বিতরণ করা হয় নি।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি জিএম ফাতিউল হাফিজ বাবু। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.