প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি করায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা-মানববন্ধন

বিশেষ প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটুক্তির অভিযোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা যুবদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক হায়দারীর বিরুদ্ধে থানায় পৃথক এজাহার দিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম টুটুল খান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম। গতকাল বুধবার রাতে পৃথক দুটি এজাহার শিবগঞ্জ থানায় দাখিল করেন তারা।
এজাহারে জানা গেছে- গত ৩১ আগস্ট যুগান্তর অনলাইন নিউজ পোর্টালে ”জিয়াউর রহমান সেক্টর কমান্ডার ছিলেন, কিন্তু যুদ্ধ করেননি” শিরোনামে সংবাদে যুগান্তরের ফেসইবুক টাইমলাইনে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় মন্তব্য করেন জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক হায়দারী। প্রধানমন্ত্রীকে এ ধরণের আক্রমত্মক মন্তব্য করায় এলাকায় বিশৃংখলা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তার এমন মন্তব্যের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কুরুচীপূর্ণ ইজ্ঞিত করা হয়েছে। এতে পুরো উপজেলায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এদিকে, শহিদুল হক হায়দারীকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিবগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ। আজ বৃহস্পতিবার (০২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে শিবগঞ্জ সরকারি মডেল হাই স্কুলের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জননেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম টুটুল খান, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তোসিকুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রিজভী আলম রানা, সাধারণ সম্পাদক আশিফ আহমেদ, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদি হাসান হিমেল ও সাধারণ সম্পাদক আলী রাজসহ দলের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
মানববন্ধনে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জননেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে যারা কটুক্তি করে তাদের স্থান এ শিবগঞ্জের মাটিতে হবে না। তিনি আরও বলেন, শীর্ষ সন্ত্রাসী শহীদ হায়দারীকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওয়ায় আনা হবে এবং ভবিষ্যতে শিবগঞ্জের মাটিতে আর কেউ যেন, জাতির জনকের কন্যাকে কটুক্তি করার দুঃসাহস না দেখাতে পারে সে ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে গণমাধ্যম কর্মীদের পক্ষ থেকে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফরিদ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনাকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি রুহুল আমীন খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.