পাষন্ড পিতার কান্ড’ মাকে নির্যাতনের প্রতিবাদ করায় স্ত্রী’সহ ২পুত্রকে মধ্যোযোগীয় কায়দায় নির্যাতন! 

বিশেষ প্রতিনিধি: মা’কে নির্যাতনের প্রতিবাদ করায় স্ত্রীসহ দুই’পুত্র সন্তানকে নির্মমভাবে লাঠি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত করেছে পাষন্ড পিতা ও তার লোকজন। মুমূর্ষু অবস্থায় মা’সহ দু’পুত্রকে পীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে পীরগঞ্জের মদনখালী ইউনিয়নের খেতাবের পাড়া গ্রামে।
এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করা হলে আজ রোববার (১৬ মে) দুপুরের দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
গ্রামবাসী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২২ বছর পূর্বে খেতাবের পাড়া গ্রামের মৃত আজগার আলীর পুত্র আশেকুল ইসলাম (৪০) এর সঙ্গে একই গ্রামের এমদাদুল হকের কন্যা নুরনাহার বেগমের প্রেম করে বিয়ে হয়। আশেকুল, নুরনাহার দম্পত্তির সংসারে নুর আলম (১৯), নিশাদবাবু (১৭) ও নিরব (৮) নামের ৩ পুত্র সন্তান রয়েছে। সংসারের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আশেকুল প্রায়ই স্ত্রী নুরনাহার বেগমকে শারিরীকভাবে নির্যাতন করতো।
এর’ই ধারাবাহিকতা গতকাল ১৫ মে বিকালে অভিন্ন কারণে আশেকুল ইসলাম তার স্ত্রী নুরনাহার বেগমকে লাঠি দিয়ে বেদম প্রহার করছিল। এ সময় তার দু’পুত্র নুর আলম ও নিশাদ বাধাদান ও প্রতিবাদ করলে পিতা আশেকুল ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে আশেকুল তার ভগ্নিপতি মজনু মিয়া ও ভাই আকমল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী ও তার দু’পুত্রকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। শুধু মাথায় কোপ নয়, বড় ছেলে নুর আলমের হাতের রগ পর্যন্ত কেটে দিয়েছে পাষন্ড পিতা ও তার লোকজন।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, আশেকুল একজন দুষ্টু প্রকৃতির ও বদমেজাজী লোক। এর আগেও বহুবার তার বিচার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জামিউল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অপরাধীদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি রুহুল আমীন খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.