নাটোর-৪ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রতন সাহা

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোর -৪ বড়াইগ্রাম গুরুদাসপুর নির্বাচনী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক ছাত্রনেতা ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় উপকমিটি সহ-সম্পাদক, নাটোর জেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সদস্য- রতন সাহা আগাম নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন । তার দাবী এলাকার উন্নয়নে তার যথেষ্ট অবদান রয়েছে ।

এই আসনটি আওয়ামীলীগের জন্য বরাবরই উর্বর। ভৌগলিক অবস্থানগত কারণ এবং সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা হওয়ার কারণে আওয়ামীলীগের নির্দিষ্ট ভোট ব্যাংক রয়েছে। কিন্তু এলাকাতে আভ্যন্তরীন দ্বন্দ-কোন্দল চরমে, স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীরা ৩টি ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে, এই কোন্দলের কেন্দ্রে রয়েছেন বর্তমান এমপি নিজেই। এই আসনের বর্তমান এমপি আব্দুল কুদ্দুস। তিনি ৪বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৯৬-২০০০ সরকারের আমলে তিনি শেষের দিকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি।

এই দুই বলয়ের বাহিরে দলের নির্দেশিত পথে সরকারের উন্নয়ন প্রচারে নিয়মিত গণসংযোগ, উঠান বৈঠক ও প্রচার প্রচারণায় গণমানুষের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে দলীয় অনৈক্য বিভেদ এবং বিভ্রান্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক ছাত্রনেতা ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় উপকমিটি সহ-সম্পাদক, নাটোর জেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সদস্য- রতন সাহা। নাটোর নবাব সিরাজউদ্দৌলা সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবির বিরোধী আন্দোলন, কেন্দ্রীয় ছাত্র রাজনীতিতে থাকার সুবাদে দল ঘোষিত সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। পুলিশ-শিবির ও ছাত্রদল কর্তৃক বারবার নির্যাতিত ও আহত হয়েছেন।

দেশরত্ন শেখ হাসিনা মুক্তির আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির কর্তৃক ৩ বার এবং ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় মোট ৪ বার সাক্ষাত মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছেন। তিনি শ্রদ্ধা ও সম্মানকে পুঁজি করে এলাকার মানুষকে সংগঠিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন এবং তিনি এমপি বলয় এবং শাহনেওয়াজ/পাটোয়ারী ২ বলয়কেই সমন্বয়েরও চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

নাটোরের রাজনীতিতে তাঁর সরব, স্বতস্ফুর্ত উপস্থিতি প্রায় দুই যুগেরও অধিককাল। বিনয়ী, সদালাপী, মিষ্টভাষী, সহজেই মানুষের সাথে মিশে যেতে পারেন। তাঁর বাড়তি সুবিধা হলো তাঁর পিতা ৭০-এর দশকের প্রতিষ্ঠিত একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের সুদীর্ঘ ৩৮ বছর প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ছিলেন, সঙ্গত কারণেই এতদাঞ্চলের মানুষের মাঝে তাঁর একটি পারিবারিক স্বচ্ছ ইমেজও রয়েছে। তিনি উন্নয়ন প্রচারের পাশাপাশি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন এলাকার গণমানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন এবং এলাকার রাজনীতির গুনগত ও ইতিবাচক পরিবর্তনই তাঁর লক্ষ্য।

তিনি তৃণমূল থেকে বেড়ে ওঠা একজন রাজনৈতিক কর্মী, দল এবং দেশরত্ন শেখ হাসিনা যদি তাঁকে মনোনয়ন দেন, তাহলে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তিনি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। আবার শাহনেওয়াজও পাটোয়ারী বলয়ের কাউকে মনোনয়ন দিলে এমপি বলয়ের সাথে প্রবল অভ্যন্তরীন দ্বন্দ-কোন্দল আরো প্রকট আকার ধারণ করবে। সেক্ষেত্রে সম্ভবনার এই আসনটি হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম হতে পারে।

অতএব তৃতীয় বলয় থেকে যদি সামাজিকভাবে গ্রহনযোগ্য কাউকে প্রার্থী করা যায়, যিনি সত্যিকারের গণমুখী রাজনীতির চর্চা করবেন, তবেই এই আসনটি নিশ্চিতভাবে বিজয়ের মুখ দেখতে পারে।#

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি মো: নাসিম উদ্দীন নাসিম ।

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.