অচলাবস্থায় কসবা সীমান্ত হাট

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া(কসবা) প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা কমলাসাগর-তারাপুর কসবা সীমান্ত হাটে কোনও পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই আসেননি ভারতীয় বিক্রেতারা। ফলে ভারতীয় পণ্য কিনতে আসা ক্রেতারা শূন্য হাতে ফিরে গেছে বাংলাদেশি ক্রেতারা। এ নিয়ে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গত কয়েক মাস ধরেই সীমান্ত হাটে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। ভারতীয়রা হাটে আসার অতিথি কার্ড বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকেই এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশি ব্যবসায়িরা যেকোনও সময় ধর্মঘট ডাকতে পারেন বলে জানিয়েছেন।

ভারতীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, একেবারে মন্দ ছিল না তাদের ব্যবসা। কিন্তু তাদের দেশের স্থানীয় একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক মহল বিক্রেতাদেরকে ওই হাটে আসতে দিচ্ছে না। বিষয়টি তারা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন।ফাঁকা পড়ে আছে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের অংশ।

রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাটে ঢুকতেই বাংলাদেশি পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন ব্যবসায়ীরা। তবে খুব একটা ক্রেতা নেই। একটু দূরেই ভারতীয় ব্যবসায়ীদের শেডগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। বেলা ১টা নাগাদ অপেক্ষা করেও ভারতীয় বিক্রেতাকে পণ্য নিয়ে আসতে দেখা যায়নি। তবে হাতে গোনা কয়েকজন ভারতীয় ক্রেতা হাটে এসেছিলেন। বাংলাদেশের যেসব ক্রেতা হাটে ঢুকেছিলেন তারা ভারতীয় পণ্য না সেলফি,আড্ড,আর ছবি তুলে ঘুরে সময় কাটিয়েছেন। কেউ কেউ দেশীয় পণ্য নিয়েই বাড়ি ফিরেছেন।

হাটে আসা অপর ক্রেতা কাউছার সরকার নামে এক সরকারি চাকুরে বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘ছুটি নিয়ে এসেছিলাম এই হাটে। কিন্ত মনে হচ্ছে আসাটা আমার বৃথা হলো।’
সীমান্ত হাটের বাংলাদেশ অংশের ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন শাহীন হাটের বর্তমান অবস্থা নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আগে দুই দেশ থেকেই এক হাজার করে অতিথি কার্ড দেওয়া হতো। পাঁচ কিলোমিটার এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। বাইরের লোকজন ওই কার্ড সংগ্রহ করে হাটে আসতে পারতেন। কিন্তু হঠাৎ করেই ভারতীয়রা ওই কার্ড দেওয়া বন্ধ করে দেয়। এতে ভারতীয় ক্রেতা কমে যায়। ফলে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়ে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের অনুরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের অতিথি কার্ড দেওয়াও বন্ধ করে দেয়।’

এ ব্যাপারে কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সীমান্ত হাট পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি হাসিনা ইসলামের কাছে জানতে চাইলে বিটিসি নিউজকে বলেন, রবিবার ভারতীয় কোনও ব্যবসায়ী পণ্য নিয়ে হাটে না আসার বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ৬ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার তাঁরাপুর এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহী জেলার কমলা সাগর নামক স্থানে দুই দেশের শূন্যরেখায় প্রায় ৩ একর জমির ওপর হাটটির যাত্রা শুর হয়।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া(কসবা) প্রতিনিধি মোঃ লোকমান হোসেন পলা।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.