নাটোরে ভাবীর বাড়ি থেকে দেবরের মরদেহ উদ্ধার-ভাবী আটক

নাটোর প্রতিনিধি: নাটেরের বাগাতিপাড়া উপজেলার পাকা ইউনিয়নের নাজিরপুর প্রামেপরকীয়ার জেরে ভাবির বাড়িতে দেবরের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ভাবী লাবনিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ওই যুবকের মৃত্যু হয়।
শুক্রবার সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। মৃত সাকিবুল ইসলাম সোহাগ (২৮) ওই গ্রামের মুজিবুর রহামানের ছেলে। সে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ অগ্রনী ব্যাংকে আনছার সদস্য হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার নিহত যুবক ছুটি কাটানোর উদ্দেশ্যে কর্মস্থল থেকে ট্রেনযোগে বাড়ি ফির ছিলেন। ছেলে বাড়ি ফিরবে বলে পরিবারের সদস্যরাও অপেক্ষায় ছিল। হঠাৎ পাশের বাড়ি থেকে সোহাগের চিৎকারের শব্দ এলে সবাই ওই বাড়িতে ছুটে গিয়ে সোহাগকে বিবস্ত্র অস্বাভাবিক অবস্থায় বারান্দায় পড়ে থাকতে দেখে।
পরে দ্রুত তাকে বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবার সূত্রে আরো জানা যায়, সোহাগের সাথে তার চাচাতো ভাই বউ (ভাবী) লাবনির প্রায় ২ থেকে ৩ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। লাবনি ওই এলাকার মৃত মোজ্জাামেলের স্ত্রী। লাবনীর স্বামী ৬ বছর আগে মারা যায়। তার পর থেকেই ভাবি দেবর পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে তোলে। আর সেই পরকীয়ার জেরে সেহাগ তার স্ত্রীর সাথে খারাপ আচরণও করতো। তাদের এই পরকীয়ার সম্পর্ক সমাধান করার জন্য বেশ কয়েক বার পারিবারিক ভাবে বসেও সমাধান করা যায়নি বলেও জানা যায়। পরিবারের দাবি সোহাগের অন্ডকোষ চেপে লাবনি (ভাবি) তাকে হত্যা করেছে।
বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুর রাজ্জাক জানান, রাতে মেডিকেলে নিয়ে আসা সোহাগ নামের ওই যুবক হাসাপাতালে আসার পূর্বেই মারা গেছে। হঠাৎ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি প্রাথমিকভাবে রণা করছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে সঠিক কারণ জানা যাবে বলেও তিনি জানান।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বিটিসি নিউজকে জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে নিহত যুবকের সাথে ওই নারীরর পরকীয়ার সম্পর্কের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভাবী লাবনীকে আটক করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.