দুই হাজার টাকা বেতনের কর্মচারীর ৩ তলা বাড়ি, ৯ বছর কারাদণ্ড

 

রংপুর প্রতিনিধি: জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় গাইবান্ধা ডাকঘরের কর্মচারী হাবিবুর রহমানকে ৯ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২৮ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুরের দুর্নীতি দমন বিশেষ আদালতের বিচারক হায়দার আলী এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে আসামিকে পুলিশি পাহারায় আদালতের হাজতখানায় নেওয়া হয়।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, আসামি হাবিবুর রহমান গাইবান্ধা ডাকঘরে পোস্টাল অপারেটর পদে দুই হাজার টাকা বেতনে চাকরি করতেন। চাকরি করাকালে ১৯৯৫ থেকে ২০০২ সালের মধ্যে মৃত ব্যক্তি ও ভুয়া সঞ্চয়পত্রের অ্যাকাউন্ট খুলে কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।
এ ছাড়ায় অবৈধভাবে তিন তলা বাড়ি, ৪৫ বিঘা জমি ও সন্তানদের নামে ব্যাংকে ফিক্স ডিপোজিট করে বিপুল অর্থ বিত্তের মালিক হন। এ ঘটনায় দুদক তার বিরুদ্ধে অবৈধ ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে ২০১৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর দুদকের রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বীরকান্ত রায় বাদী হয়ে দুদক আইনে মামলা করেন।
তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়। মামলায় ১২ জনের সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আসামি হাবিবুর রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করে ৯ বছরের কারাদণ্ড ও ২৮ লাখ ৯১ হাজার ৩৯১ টাকা জরিমানার আদেশ দেন। জরিমানার অর্থ ৬০ কার্যদিবসে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়। অন্যথায় আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
দুদকের পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী দুদক আইনজীবী হারুনর রশীদ জানান, আসামি পোস্টাল অপারেটর হিসেবে চাকরি করে বিভিন্ন গ্রাহকের সঞ্চয়পত্রের ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে অর্থ আত্মসাৎ করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগে দুদকের করা মামলায় অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দেন।
রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট জানিয়ে তিনি বলেন, রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে কেউ পার পাবে না। তাকে আইনের মুখোমুখি হতেই হবে।
অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুর রহমান বলেন, এ রায়ে তারা ন্যায়বিচার পাননি। উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রংপুর প্রতিনিধি এস এম রাফাত হোসেন বাঁধন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.