দানাদার খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ, এখন লক্ষ্য পুষ্টিজাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন – কৃষিমন্ত্রী

PRESS (PID) RELEASE: কৃষি মন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের যেন সৃজনশীলতা ও মেধা বিকশিত হয়, তারা যেন সুস্থ থাকতে পারে এবং দেশ গড়ায় অবদান রাখতে পারে, সেজন্য আমাদের শাকসবজি, ফলমূল, মাছ, ডিম, দুধ ও মাংস ইত্যাদি খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো প্রয়োজন। দানাদার খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ, এখন লক্ষ্য পুষ্টি জাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন।
আজ (২৮ জুলাই) রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘‘বিদ্যমান শস্য বিন্যাসে তৈল ফসলের অন্তর্ভূক্তি এবং ধান ফসলের অধিক ফলনশীল জাতসমূহের উৎপাদন বৃদ্ধি’’ শীর্ষক এক কর্মশালায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কৃষি মন্ত্রী বলেন, ফল, সবজি এবং ফসলের অনেক নতুন জাত আমাদের বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবন করেছে। পুষ্টি ও ভিটামিন সমৃদ্ধ এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সমৃদ্ধ অনেক ফসলই বরেন্দ্র এলাকায় উৎপাদন করা হচ্ছে। ভিটামিনে ভরপুর শীতকালীন সবজি টমেটো এখন গ্রীষ্মকালেও উৎপাদন করা হচ্ছে। উত্তরাঞ্চলে শীত দীর্ঘ হাওয়ায় আলু, ধান ও গম ভালো হয়। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে, এটা আমাদের সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার নির্বাচনী ইশতেহারের মাধ্যমে জাতিকে প্রতিশ্রæতি দিয়েছে, আমরা খাদ্যশস্যে বাংলাদেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করব। সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমিয়ে আনবো।
খাদ্য নিরাপত্তাকে এমডিজি ও এসডিজির অন্যতম লক্ষ্য উল্লেখ করে কৃষি মন্ত্রী বলেন, কোন মানুষ কতটুকু খাবার খেতে পারে তা দিয়ে তার দারিদ্র্যতা নির্ধারণ করা যায়। ২১০০ ক্যালরির নিচে খাবার খেলে দারিদ্র্য সীমার নিচে এবং ১৮০০ ক্যালরির নিচে অতিদরিদ্র, এখন বাংলাদেশের ১০ ভাগ মানুষ অতি দরিদ্র্য এবং দারিদ্র্র্য সীমার নিচে রয়েছে ২০ ভাগ মানুষ। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার সময় এটি ছিল ৪০ ভাগ।
তিনি আরও বলেন, এখন আমাদের লক্ষ্য এই সম্ভাবনাময় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কিভাবে ধানের উৎপাদন বাড়াতে পারি এবং অতিরিক্ত কোন ফসল উৎপাদন করা যেতে পারে তা নির্ধারণ করা। তিনি এ অঞ্চলে সরিষার আবাদ বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন।
আমাদের বিজ্ঞানীরা ফসলের নতুন জাত উদ্ভাবন করছে এবং তাদের উদ্ভাবিত ফসলের উৎপাদন শতকরা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি উল্লেখ করে মন্ত্রী পুরাতন ও কম উৎপাদনশীল জাতের ফসল এর পরিবর্তে নতুন ও অধিক উৎপাদনশীল জাত ব্যবহার করার পরামর্শ দেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: সায়েদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বি.এ.আর.সি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: বেনজির আলম, বি.এ.আর.আই এর মহাপরিচালক ড. দেবাশিষ সরকার, বি.এ.ডি.সি (বীজ) এর সদস্য সচিব মো: মোস্তাফিজুর রহমান, রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: আলী কামাল।
বিকালে মন্ত্রী রাজশাহীর স্থানীয় একটি হোটেলে কৃষি মন্ত্রণালয় ও FAO আয়োজিত ‘কৃষি সেক্টর রূপান্তরে বিনিয়োগ’ শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন। কর্মশালায় কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, বিপণন এবং বাণিজ্যিকীকরণ, জলবায়ু সহিষ্ণু কৃষি : প্রযুক্তি উন্নয়ন এবং সম্প্রসারণ, বিশেষায়িত এবং বহুমূখী হিমাগার, সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা, সরবরাহ চেইন ব্যবস্থপনা এবং সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সমস্যা ও সম্ভাবনা বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
NEWS FROM Regional Information Office (PID). Press Information Department. Ministry of Information. #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.