বিশেষপ্রতিনিধি: রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ইলেক্ট্রো মেডিক্যালে ডিপ্লোমা করেছেন মারুফ। কিন্তু তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর সদস্য হওয়ায় ভাল কোন চাকরি পাচ্ছিলেন না। ভুগছিলেন চরম হতাশায়। রাজশাহীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) আব্দুল জলিল তার হতাশা দূর করে দিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক মারুফকে কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি দিয়েছেন নিজের কার্যালয়ে। মাসের প্রথম দিন গতকাল সোমবার (০১ মার্চ) মারুফ যোগ দিয়েছেন। শুধু মারুফ একা নন, জনি হোসেন নামে তৃতীয় লিঙ্গের আরেকজনের চাকরি হয়েছে ডিসি অফিসে। অষ্টম শ্রেণি পাস করা জনি চাকরি পেয়েছেন অফিস সহায়ক হিসেবে। তাদের দুজনকেই জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নেজারত শাখায় দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার নিজের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার প্রতিনিধিদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক তৃতীয় লিঙ্গের দুজনকে চাকরি দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান। হিজড়াদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন দিনের আলো হিজড়া সংঘ ওই সভার আয়োজন করে।
জেলা প্রশাসক বলেছিলেন, দিনের আলো হিজড়া সংঘ যে দুজনকে চাকরির জন্য সুপারিশ করবে তাদের সুযোগ দেয়া হবে। মার্চের ১ তারিখেই তারা যোগ দেবেন। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে যতদিন পর্যন্ত তাদের স্থায়ী করা না যাবে ততদিন তারা জেলা প্রশাসকের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে বেতন পাবেন। এরপর দিনের আলো হিজড়া সংঘ জনি ও মারুফের নাম প্রস্তাব করে। এর আগে গত রোববার তারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে আসেন। গতকাল সোমবার কাজে যোগ দেন তারা।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.