বাগেরহাট প্রতিনিধি: ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করে নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছেন। কিন্তু পেশা হিসেবে এটি এখনও অত বেশি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। যার কারণে ফ্রিল্যান্সারদের নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীণ হতে হয়। এই কারণে ফ্রিল্যান্সারদেরকে সরকারিভাবে পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে। সেই সাথে খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট গেটওয়ে পে-পাল চালু করা হবে। ফ্রিল্যান্সারদের প্রাণের দাবি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী এটা চালুর উদ্যোগ নিয়েছেন , আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ও যুগোপযোগী কর্মদক্ষতা অর্জন করতে পারলে, প্রত্যেক তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকার, সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদয়ের দিকনির্দেশনায় দেশজুড়ে আইটি,হাইটেক পার্ক ও সফটওয়্যার টেকনোলোজি পার্ক স্থাপন এবং দক্ষ প্রজন্ম গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে প্রশিক্ষণ ও মেন্টরিংয়ের ব্যবস্থা করছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, শুক্রবার (১২ মে) দুপুরে বাগেরহাট জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাগেরহাট গড়ার জন্য যা যা প্রয়োজন প্রধানমন্ত্রী তা করবেন। বাগেরহাটের শিক্ষিত যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য জেলা সদরে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হবে। সেই সাথে প্রতিটি উপজেলায়ও তথ্য প্রযুক্তি ও ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে প্রশিক্ষন সেন্টার করা হবে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি বছর কয়েক হাজার দক্ষ ফ্রিল্যান্সার বের হবে। যারা নিজেরা আয় করার পাশাপাশি অন্যদেরও কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করতে পারবেন।
এর আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র বাগেরহাট–২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য শেখ তন্ময় দিনব্যাপি এই স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলার উদ্বোধন করেন ,সংসদ সদস্য শেখ তন্ময় বলেন স্বপ্ন দেখতে হবে, ঝুঁকি নিতে হবে, আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে; তাহলে পদ্মা সেতু নির্মাণের মতো বাংলাদেশের যুবকরাও আগামীতে আত্মনির্ভরশীল হয়ে আইসিটি খাতে সবচেয়ে বেশি ডলার (রেমিট্যান্স) আমদানি করবে ,সংসদ সদস্য শেখ তন্ময় তিনি আরো বলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে দক্ষিাঞ্চলের গন মানুষের দাবী স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মানসহ সারাদেশের ন্যায় বাগেরহাট জেলায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। রামপালে তাপ-বিদ্যুৎ কেন্দ্র, খুলনা-মোংলা রেল লাইন নির্মানসহ দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর মোংলার উন্নয়নে নজির সৃষ্টি হয়েছে। স্বাধীনতা পরবর্ত্তি সময়ে এত বেশী উন্নয়ন আর কোন সরকার করতে পারেনি।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে স্মার্ট মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. আমিরুল আলম মিলন,তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এস এ এম রফিকুন্নবী,বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল ইসলাম, ব্রাক-কুমন-এর প্রধান নেহাল বিন হাসান প্রমুখ।আইসিটি ডিভিশন, ডিজিটাল বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর, এটুআই, আইডিয়া, ইডিজিই আয়োজিত দিনব্যাপি ৩৫টি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান তাদের স্টল রয়েছে। শিক্ষিত ও দক্ষ তরুন-তরুনীরা চাকুরীর জন্য নিবন্ধন করেছেন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টলে তাদের জীবন বৃত্তান্ত দিয়েছেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের চাহিদা অনুযায়ী অনেক প্রার্থীদের চাকুরী দিয়েছেন।এছাড়া মেলা উপলক্ষে আইসিটি ডিভিশনের পক্ষ থেকে ২০ জন ফ্রিল্যান্সারকে ২০টি ল্যাপটপ এবং ৪০ জন উদ্যোক্তাকে নগদ ৫০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়।
পরে প্রতিমন্ত্রী হযরত খানহাজান আলী (রা:) মাজার জিয়ারত ও ষাট গম্বুজ মসজিদ পরিদর্শন করেন। বিকালে তিনি বাগেরহাট যদুনাথ স্কুল এন্ড কলেজের শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগদান, বাগেরহাট সদরে মুনিগঞ্জ শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের প্রস্তাবিত জায়গা পরিদর্শন এবং বাগেরহাট সদরে চিরুলিয়া স্কুল এন্ড কলেজের শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ও স্কুল অব ফিউচারের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.