বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলি সৈন্যরা মঙ্গলবার গাজা উপত্যকায় হামাস যোদ্ধাদের সাথে লড়াই করেছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির’ দাবিতে একটি প্রস্তাব পাস হওয়া সত্ত্বেও যুদ্ধে বন্ধের কোনো লক্ষণ নেই।
ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের অনুপস্থিতিতে সোমবার এই প্রস্তাব গৃহীত হয়। মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাসে এই প্রস্তাবে ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির’ দাবি জানানো হয় যা একটি ‘স্থায়ী’ যুদ্ধবিরতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এই প্রস্তাবে গত অক্টোবর ইসরায়েলে হামাস ও অন্যান্য যোদ্ধাদের নজিরবিহীন হামলা চলাকালে তাদের হাতে জিম্মি হওয়া ব্যক্তিদের মুক্তির দাবি জানানো হয়। যদিও যুদ্ধবিরতির সাথে এসব জিম্মি মুক্তির সরাসরি কোন সম্পর্ক নেই।
ভোটের পর জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস প্রস্তাবটি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে লিখেছেন এক্ষেত্রে ‘ব্যর্থতা ক্ষমার অযোগ্য।’
নিরাপত্তা পরিষদের অন্য ১৪ সদস্যদের হ্যাঁ ভোটের মধ্য দিয়ে প্রস্তাবটি পাস হওয়ার পর ইসরায়েল সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের অনুপস্থিত থাকায় বিক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে।
গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে এই প্রথম এমন প্রস্তাব পাস হলো।
সম্প্রতি ইসরায়েলের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ক্রমবর্ধমান কঠোর অবস্থান গ্রহণের পর ওয়াশিংটন নিরাপত্তা পরিষদে অনুপস্থিত থাকার বিষয়টিতে জোর দেয়।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার মধ্য দিয়ে এই যুদ্ধ শুরু হয়। ইসরায়েলের দেওয়া সরকারি পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা এএফপি’র হিসেব অনুযায়ী ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলের প্রায় ১ হাজার ১৬০ জন নিহত হয়। যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।
এদিকে সোমবার হামাস পরিচালিত গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এই পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩২ হাজার ৩৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
এদিকে হামাস নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে এবং ইসরায়েলের হাতে বন্দি ফিলিস্তিনিদের ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনার জন্য তাদের প্রস্তুতির বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছে। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.