জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি কাটিয়ে সমৃদ্ধিতে যেতে পরিকল্পনা

বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি: জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির বিপদাপন্নতা অবস্থা থেকে বেরিয়ে সমৃদ্ধির দিকে যেতে পথনির্দেশিকা (রোডম্যাপ) ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা ২০২২-২০৪১’ করেছে সরকার।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিসভা বৈঠকে পরিকল্পনাটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এতে সভাপতিত্ব করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আজকের সভায় ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা ২০২২-২০৪১’ এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। আমাদের ডেল্টাপ্ল্যান আছে। প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ করতে চান তার একটা পরিকল্পনা রয়েছে। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা রযেছে। সেগুলো অর্জন করার প্রক্রিয়ায় যেন ক্লাইমেট ইস্যুটা সবসময় বিবেচনায় নেই- সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতেই এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’
মন্ত্র্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমাদের উন্নয়ন যাতে টেকসই হয়। জলবায়ু দিক থেকে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং যেসব অসুবিধার সম্মুখীন হবো- সেগুলো সরকারের বিশেষ নজর ও অগ্রাধিকার পায় সেটা নিশ্চিত করার জন্য এই পরিকল্পনা করা হয়েছে।
পরিকল্পনায় কী কী থাকছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অগ্রাধিকার কাজে বলা হয়েছে অভিযোজন ত্বরান্বিত করা যায়, প্রযুক্তি হস্তান্তরসহ শ্রম ও ভবিষ্যৎ সহনশীলতায় যাতে আমরা উত্তরণ করতে পারি সেটার একটা এলাকা আছে। ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য যে ব্যয় করতে হয় সেটার রাজস্ব আহরণে ব্যবস্থা করা যায় কি না সে কথা হয়েছে। সমন্বিত জলবায়ু ও দুর্যোগঝুঁকি অর্থায়ন ও ব্যবস্থাপনার কথা বলা হয়েছে। আর একুশ শতকের প্রযুক্তি ব্যবহারে মানবকল্যাণ নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও পরিবহন খাতের সহিষ্ণুতা কমানোর কথা বলা হয়েছে।
‘মূল বিষয়টা হলো আমরা বিপদাপন্নতা থেকে সহিষ্ণুতায় যাবো এবং সহিষ্ণুতা থেকে আমরা সমৃদ্ধির দিকে যাবো। ঠিক তার একটি রোডম্যাপ তৈরি করা।’
পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অর্থায়ন কত বা কীভাবে হবে- জানতে চাইলে মাহবুব হোসেন বলেন, ‘৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লাগবে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে। এই পরিমাণ অর্থায়ন যদি ২০৪১ সাল নাগাদ করতে পারি তাহলে প্রতিবছর ৫০ মিলিয়ন ডলার আমাদের যোগ হবে। আর জলবায়ুঝুঁকির কারণে আমাদের জিডিপি হ্রাসের যে প্রবণতা আছে সেটা বন্ধ করা সম্ভব হবে। প্রতি পাঁচ বছর পরপর এটি রিভিউ করা হবে। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পর ২০৩০ সালে এটি বিশেষ রিভিউ করা হবে।’
আগামী বাজেটে কি এ বিষয়ে কোনো বরাদ্দ থাকবে- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এটার জন্য কোনো নির্দিষ্ট বাজেট থাকবে না। এখানে যেহেতু বিভিন্ন মন্ত্রণালয় কাজ করবে তাই তাদের নিজস্ব বাজেট থেকে কাজ করবেন। এই যে ৮০ বিলিয়ন লাগবে, সেখানে বলে দেওয়া হয়েছে জিওবি থেকে কতটুকু দেওয়া হবে। আমরা মূলত টার্গেট করেছি আন্তর্জাতিকভাবে জলবায়ু সংক্রান্ত কিছু ফান্ড তৈরি হয়েছে। সেখান থেকে যাতে আমরা অধিকহারে সহায়তা পাই সেদিকে এখানে ফোকাস করা হয়েছে।’
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি মো: ফারুক আহম্মেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.