চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভিক্ষুক পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু ॥ গরু-ছাগল ও নগদ অর্থ বিতরণ

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: সারা দেশের মত চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভিক্ষুক পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জেলােেক ভিক্ষুকমুক্ত করার লক্ষে ও বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য গরু-ছাগল, সেলাই মেশিন ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়। বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষে উপকরণ বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান। সদর উপজেলা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান বিতরণী সভায় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন চাঁপাইনবাবগঞ্জ উপ-পরিচালক আবুল কালাম, মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মো. এজাবুল হক বুলি। জেলার মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড ও সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নকে পরীক্ষামূলকভাবে বেছে নেয়া হয়েছে ভিক্ষুকমুক্ত এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য।

এই লক্ষে মহারাজপুর ইউনিয়নের ২২জনকে গরু-ছাগল, ১২জনকে নগদ অর্থ (বিভিন্ন দোকানী ব্যবসার জন্য প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে), ৪ হাজার জনকে ভিজিএফ ও জিআর এর চাউল বিতরণ ১ কেজি করে, ১ হাজার ২’শ শাড়ি-লুঙ্গী, থ্রি পিস, ছোটদের পোষাক, পাঞ্জাবী বিতরণ করা হয়। পর্যায়ক্রমে ইউনিয়নের আরও অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে সহায়তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন অতিথিরা। প্রধান ও বিশেষ অতিথি বলেন, বর্তমান সরকার দরিদ্র অসহায় মানুষকে স্বাবলম্বী করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সারা দেশকে ভিক্ষুকমুক্ত করার জন্য উদ্যোগ হাতে নিয়েছে।

দেশের অন্যান্য জেলার মত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাতে এই কর্মসুচী চালু করা হয়েছে। সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় এই জেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত করা সম্ভব হবে। প্রধান অতিথি বলেন, বর্তমান সরকার দারিদ্র বান্ধব সরকার। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে বর্তমান সরকার বিধবা, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী, স্বামী পরিত্যাক্তাসহ বিভিন্ন ভাতা দিয়ে তাদের স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করছেন। গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ করে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিচ্ছেন। এই ধারা অব্যাহত রাখতে হলে আগামীতেও আওয়ামীলীগ সরকারকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় নিয়ে আসতে হবে। তাহলেই দেশের উন্নয়ন হবে, সাধারণ মানুষের উন্নয়ন হবে। এসময় মহারাজপুর ইউনিয়নের ৫ সহস্রাধিক নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.