ঘুমন্ত জো বাইডেনে’ই আস্থা ওয়ালস্ট্রিট’র

(ঘুমন্ত জো বাইডেনে’ই আস্থা ওয়ালস্ট্রিট’র–ছবি: সংগৃহীত)

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নির্বাচনী প্রচারণার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প জো বাইডেনের জনপ্রিয়তাকে ব্যঙ্গ করে বলেছিলেন, ‘ঘুমন্ত জো’। মার্কিন শেয়ার বাজারের চাঙ্গা পরিস্থিতিই বলে দিচ্ছে ঘুমন্ত জো বাইডেনকেই পছন্দ ওয়ালস্ট্রিটের। ক্ষমতায় আসার আগেই ডেমোক্রেট প্রার্থীকে স্বাগত জানিয়েছে মার্কিন শেয়ার বাজার।

ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যানকে অপমান কিংবা চীনা পণ্যে টানা শুল্ক আরোপ করে মার্কিন কোম্পানী গুলোকেও বিপাকে ফেলেছেন ট্রাম্প।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ৪০ বছরের রাজনীতির ক্যারিয়ারের জো বাইডেন যদি যুক্তরাষ্ট্রের হাল ধরেন, ভাগ্য ফিরবে বিনিয়োগকারীদের। বাজারে অস্থিরতা দূর হবে। বাণিজ্য নীতি, কূটনৈতিক সম্পর্কে স্থিতিশীলতা আসবে। দেশের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনতে আলোচনা হবে মার্কিন কংগ্রেসের সাথে।

এদিকে কে ধরবেন করোনায় বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির হাল? কে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবেন লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য? এমন উত্তেজনা যখন তুঙ্গে, তখন যুক্তরাষ্ট্রে অক্টোবর মাসেই ৬ লক্ষ ৩৮ হাজার মার্কিনির কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এ হার গেলো ৫ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম হলেও ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে বেকারত্ব হার। সেইসাথে কমছে বেকারভাতা নেয়া মার্কিনির সংখ্যাও। অক্টোবরে বেড়েছে দেশটির অর্থনৈতিক কার্যক্রম। আশার খবর, বেকারত্ব ১৪ শতাংশ থেকে ধীরে ধীরে ৭ শতাংশে নেমেছে।

এদিকে কে হচ্ছেন হোয়াইট হাউজের কর্ণধার, সেই আভাস পাওয়ার পর থেকে চাঙ্গা মার্কিন শেয়ার বাজার। যতোই জয়ের দিকে এগোচ্ছেন ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন ততোই ভালো অবস্থানে যাচ্ছে মার্কিন শেয়ার বাজার। সপ্তাহ জুড়েই চাঙ্গা ওয়ালস্ট্রিটের ডও জনস, এস এন্ড পি, আর নাসডাক কম্পোসিট সূচক।

এছাড়া, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে চাঙ্গা এশিয়ার শেয়ার বাজার। উর্ধ্বমুখী জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, আর হংকংয়ের শেয়ার বাজারের বিভিন্ন সূচক।

নির্বাচনী উত্তেজনার মাঝে শক্তিশালী ভার্চুয়াল কারেন্সি বিটকয়েনের দাম বেড়েছে। ২০১৮ সালের পর চলতি মাসেই প্রায় ১৫ হাজার ডলারে পৌঁছেছে এক বিটকয়েনের দাম। নিউইয়র্কে একদিনে ৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে এ মুদ্রার দাম।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বিটকয়েনের দাম ২০২১ সালেই পৌঁছাতে পারে ২০ হাজার ডলারে। অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সির মাঝে সবচেয়ে স্থিতিশীল অবস্থায় আছে বিটকয়েন।

তবে মার্কিন অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ক্ষমতায় যেই আসুক না কেন, এতো সহজে মার্কিন অর্থনীতিতে কোন ম্যাজিক দেখাতে পারবেন না তারা। করোনা মহামারির কারণে দেশের অর্থনীতি এতোটাই বিপর্যস্ত যে সরকারের কোন পদক্ষেপই রাতারাতি বদলে দিতে পারবে না মার্কিন অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.