জনগণের জীবনমান উন্নয়ন করাই সরকারের মূল লক্ষ্য : প্রধানমন্ত্রী

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: সমবায় ব্যবস্থাকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিয়ে দেশকে সাবলম্বী করার পরিকল্পনার কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টুঙ্গিপাড়ায় আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, দারিদ্র বিমোচন করে জনগণের জীবনমান উন্নয়ন করাই সরকারের মূল লক্ষ্য। চাকরির পিছনে না ছুটে তরুণ সমাজকে উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশের আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।
শুক্রবার (১০ মে) সকালে সড়কপথে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছোট বোন শেখ রেহানা ও স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে দোয়া মোনাজাতে অংশ নেন তিনি।
পরে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামীল লীগ কার্যালয় প্রাঙ্গনে দাড়িয়ারকুল সমবায় সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। নিজস্ব ৯ দশমিক শূন্য ৫ একর জমি দিয়ে এবং অনলাইনে ২০০ টাকা চাঁদা পরিশোধ করে সমিতির উপদেষ্টা সদস্য হন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
বক্তৃতায় শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর সমবায়ের ধারণা থেকেই দারিদ্র বিমোচন করে জনগণের জীবনমান উন্নয়ন করতে চান তিনি।
সরকারপ্রধান বলেন, আমরা দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে অনেক উদ্যোগ নিয়েছি।সরকারের নেয়া কর্মসূচিগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলে দেশে কেউ গরীব থাকবে না।
তিনি ক্ষুদ্র সঞ্চয় নিশ্চিত করতে এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য সমগ্র বাংলাদেশে সমবায় সমিতি গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
প্রতিটি এলাকায় সমবায় সমিতি গঠন করে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণে আওয়ামী লীগ নেতাদের আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
পেনশন স্কিম এবং সমবায় ব্যবস্থাকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিয়ে দেশকে স্বাবলম্বী করার পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, বয়স হয়ে গেলে যেন কেউ কষ্টে না ভোগে সেই উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। পেনশন স্কিম চালালে ভাতার ওপর নির্ভরশীলতা কমানো সম্ভব।
বঙ্গবন্ধুকন্যার আশা, তরুণরা চাকরির পিছনে না ছুটে হয়ে উঠবেন এক একজন উদ্যোক্তা।
পরে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ এবং সমবায় সমিতির সদস্যদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে একজনকে ধান মাড়াই মেশিন, দুজনকে দুটি ল্যাপটপ দেন। শিক্ষা সহায়তা হিসেবে ৩৮ শিক্ষার্থীকে ৪০ হাজার টাকা করে অনুদান, ১০ জনকে ১০টি ভ্যান, ৩০টি সেলাই মেশিন, ৩৮ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষা উপকরণ হিসেবে স্কুল ড্রেস, স্কুলব্যাগ, কাগজ-কলম ও ছাতা দেওয়া হয়।
এছাড়াও ১০ জনকে ১০টি বাই-সাইকেল, ১০ জনকে বীজ, সার, গাছের চারাসহ পুষ্টি বাগান উপকরণ ও ১০ জোড়া করে ২ জনকে মোট ২০ জোড়া কবুতর দেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে টুঙ্গিপাড়া একটি মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক কালচার সেন্টারের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন সরকারপ্রধান।
বিকালে সড়ক পথেই আবার ঢাকায় ফেরার কথা প্রধানমন্ত্রীর।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি শাফিউল কায়েস। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.