গুজব রটানোর অবাধ অধিকার পেতে আইন বাতিলের দাবী করা হচ্ছে : তথ্যমন্ত্রী

বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে দাবী করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল প্লাটফর্মে যাতে কেউ কাউকে উত্ত্যক্ত করতে না পারে, মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে গুজব ছড়িয়ে কেউ যাতে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে না পারে, সাংবাদিকের যাতে চরিত্র হনন না হয়, নারী পুরুষ কারও যাতে চরিত্র হনন না করতে পারে, সেজন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন।
কিন্তু প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে কয়েকজন ব্যক্তি প্রতিবাদ করেন, বলেন যে এই আইন বাতিল করতে হবে। গুজব রটানোর অবাধ অধিকার পেতে তারা এই দাবি করছেন।’
আজ বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং অনলাইনভিত্তিক সংগঠন ‘কে ফোর্স’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো আইন করা হয়েছে। সেখানে তো আইন নিয়ে কথা হয় না।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশী মিডিয়া ভাড়া করে সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে মির্জা ফখরুল সাহেব কথা বলেন। আসলে ওনাদের মাথাটা খারাপ হয়ে গেছে। দেশের এত উন্নয়ন, আজকে দেশ স্বল্পোন্নত অবস্থা থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। এতে তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে।’
ড. হাছান মাহমুদ অভিযোগ করেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেব সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন। উনি ইসরাইলের সঙ্গে যোগাযোগের কথা বলেছেন। বিএনপির হচ্ছে ইসরাইল প্রীতি। কারণ ৯১ থেকে বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলিরা নির্বিচারে গুলি করলো, শত শত ফিলিস্তিনিদের হত্যা করা হলো, তখন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শোক প্রস্তাব আনার জন্য সংসদে পেশ করা হয়েছিল। খালেদা জিয়ার সরকার রাজি হয়নি। সুতরাং ইসরাইল প্রীতি হচ্ছে বিএনপির।
তিনি দাবী করেন, ‘সরকার কোনও যন্ত্রপাতি ইসরাইলের কাছ থেকে কিনেনি। বিদেশী মিডিয়া ভাড়া করে ভুয়া রিপোর্ট করা হয়েছে।’
বিএনপি টিকা নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে এখন গোপনে টিকা নিচ্ছে দাবী করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা বলেছিল এই টিকা নেওয়া যাবে না, তারা কেউ টিকা নিল। আবার কেউ কেউ গোপনে টিকা নিয়েছে। এমন অপপ্রচার চালিয়েছিল, যে এখন টিকা নিয়ে জনসম্মুখে বলতেও লজ্জা পাচ্ছে। তারা কি ধরনের অপপ্রচার চালায় সেটার উদাহরণ হচ্ছে এই।’
তিনি ডিজিটাল দুনিয়ায় গুজব রটানোর বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনাদের অনুরোধ জানাবো, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবসময় সোচ্চার থাকুন। একইসঙ্গে সরকারের রাষ্ট্রের যে অর্জন সেগুলো ফলাও করে প্রচার করুন। কারণ একটি পত্রিকায় সংবাদ হলে সেটি সবাই পড়ে না, কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মানুষ প্রতিদিনই মানুষ ব্যবহার করে। সুতরাং সেখানে প্রচার অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ। কেউ অপপ্রচার করলে তার বিরুদ্ধে আরেকটি পোস্ট দেওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি মো: ফারুক আহম্মেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.