খুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটের রোগীর স্ট্রোকে মৃত্যু

খুলনা ব্যুরো: খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি (আইসোলেশনে) থাকা সুলতান শেখ (৭০) আজ রবিবার (২৯ মার্চ) সকালে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
হাসপাতালের পরিচালক ডা: এটিএম মঞ্জুর মোর্শেদ ও করোনা ইউনিটের ফোকাল পার্সন আরপি ডা: শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস আজ এমনটিই জানিয়েছেন। আবার ওই রোগীর স্যাম্পল পরীক্ষার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর (রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনষ্টিটিউট)।
এদিকে, আজ রবিবার  থেকে নূর নগরের খুলনা ডায়াবেটিক সেন্টারে করোনা সন্দেহের রোগী ভর্তির কথা থাকলেও তা হয়নি।
সেখানে ওয়ার্ড প্রস্তুত করতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। এজন্য জ্বর, সর্দি নিয়ে আসা কয়েকজন রোগীকে খুমেক হাসপাতাল থেকে ডায়াবেটিক হাসপাতাল এবং ডায়াবেটিক হাসপাতাল থেকে খুমেক হাসপাতালে ঘুরতে হয়। এমন করে ঘোরার পর খুমেক হাসপাতালের আইসোলেশনে আজ দু’জনকে ভর্তি করা হয়। এদের একজনের বাড়ি পাইকগাছায় এবং অপরজনের বাড়ি রূপসায়। বয়সও একজনের ৮৮ বছর এবং অপরজনের ৬০ বছর।
খুমেক হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি থাকা নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া এলাকার সুলতান শেখ (৭০) আজ রবিবার সকাল সাড়ে সাতটায় মৃত্যুবরণ করেন। কিন্তু যক্ষ্মা ও স্ট্রোকজনিত কারণে তার মৃত্যু হয় বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। পরে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
অবশ্য ওই রোগীটি করোনা ইউনিটের আইসোলেশনে ভর্তি থাকলেও তার স্যাম্পল পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআর নিতে রাজী হয়নি বলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান। আইইডিসিআর থেকে জানানো হয়, ওই রোগীর স্যাম্পল পরীক্ষার প্রয়োজন নেই।  গতকাল শনিবার দুপুরে তাকে খুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের সূত্রটি বলছে, করোনা ইউনিটে আজ  সন্ধ্যা পর্যন্ত সর্বমোট দু’জন রোগী ভর্তি ছিলেন। ৪ জনকে আজ রবিবার আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আর হাসপাতালের অন্যান্য বিভাগে মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ৫৪ জন।
অপরদিকে, যে হাসপাতালে প্রতিদিন এক হাজারের বেশি রোগী ভর্তি থাকতো, সেখানে মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে আজ কোন রোগী নেই বললেই চলে। হাসপাতালের প্রতিটি বিভাগ প্রায় শূণ্য। রোগী নেই, নেই দর্শনার্থীও।
এদিকে আজ খুলনা জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিল ১৭৭৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনায় নতুন করে ৩৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ৭১ জনকে। মোট ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৬৯ জন।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মাশরুর মুর্শেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.