খুনের মামলায় কারাদণ্ড, সিধুর কয়েদি নম্বর ২৪১৩৮৩

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শীর্ষ আদালতের রায়ে পাঞ্জাব কংগ্রেসের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার নভজ্যোত সিং সিধু এখন পাতিয়ালা জেলের ৭ নম্বর ব্যারাকের বাসিন্দা। তার কয়েদি নম্বর ২৪১৩৮৩। এটাই এখন তার পরিচয়।
শুক্রবার সকালে কংগ্রেস নেতা নভজ্যোৎ সিং সিধু টুইট করে বলেছিলেন, আত্মসমর্পণ করার জন্য তিনি কয়েকদিন সময় চান। কিন্তু সেদিন বিকালেই তিনি পাতিয়ালা কোর্টে আত্মসমর্পণ করেন।
৩৪ বছরের পুরনো অনিচ্ছাকৃত একটি খুনের মামলায় তাকে এক বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী এক বছরের জন্য তার বাসস্থান পাতিয়ালা জেলের সাত নম্বর ব্যারাকে।
প্রাক্তন এই ভারতীয় ক্রিকেটারকে জেলে দেওয়া হয়েছে একটি টেবিল ও একটি চেয়ার, দুটি বিছানার চাদর, একটি মশারি, দুটি বালিশের কভার, তিন সেট অন্তর্বাস, দুটো পাগড়ি, একজোড়া জুতা, দুটো তোয়ালে, একটা পেন ইত্যাদি।
জেলে কড়া নিয়ম মানতে হবে একসময়ের পাঞ্জাব কংগ্রেস প্রধানকে। সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত, কাজেই কাজ করে দৈনিক ৩০ টাকা থেকে ৯০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন সিধু।
প্রতিদিন ভোর সাড়ে ৫টায় ঘুম থেকে উঠতে হবে। চা-বিস্কুট দেওয়া হবে সকাল ৭টা নাগাদ। ব্রেকফাস্ট সাড়ে ৮টার পরে। ৬টি চাপাটি ও সব্জি দেওয়া হবে। ৯টা থেকে কাজ শুরু করতে হবে। জেলার যা কাজের দায়িত্ব দেবেন তাই করতে হবে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারকে।
বিকেল ৫টা পর্যন্ত কাজ চলবে। সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ডিনার দেওয়া হবে। ডিনারেও থাকবে ৬টি চাপাটি আর সব্জি। সন্ধ্যা ৭টার পর আবার ৭ নম্বর ব্যারাকে ঢুকে যেতে হবে।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর গুরনাম সিং নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে সিধুর কথা কাটাকাটি হয়। গুরনাম সিং ছিলেন পাতিয়ালার বাসিন্দা। গাড়ি পার্কিং করা নিয়ে দু’জনের বিবাদ শুরু হয়। তারপর গুরনাম সিংকে গাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করেন সিধু। মারধরের একপর্যায়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলে গুরনাম সিং মারা যান। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, সিধু গুরনাম সিং-এর মাথায় গুরুতর আঘাত করেছিলেন।
২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে এক ব্যক্তিকে আঘাত করার জন্য’ সিধুকে এক হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। পরে সুপ্রিম কোর্ট নিজের রায় খতিয়ে দেখে। বিচারপতিদের মনে হয়, সিধুকে কারাদণ্ড দেওয়া উচিত।
পরে শীর্ষ আদালত জানায়, কোনও ক্রিকেটার কিংবা শারীরিক ভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী কোনও মানুষ যদি অপরকে আঘাত করেন, সে ক্ষেত্রে হাত অবশ্যই একটি অস্ত্র। সেক্ষেত্রে অপরাধের সাজা অবশ্যই প্রাপ্য। (সূত্র: ডয়েচে ভেলে)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.