খালেদা জিয়া জেলে থাকলেও বিএনপি একতাবদ্ধ- বুলবুল

 

 ছবি: সৈয়দ নাবিল

 

বিটিসি নিউজ ডেস্ক :সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক সাজা ও দেশমাতার নিঃশর্ত মুক্তি এবং স-চিকিৎসার দাবীতে বুধবার বেলা ১১টায় মহানগর বিএনপি’র, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের সমন্বয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

নগরীর মালোপাড়াস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনের প্রধান সড়কে মানববন্ধনে সভাপত্বি করেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পূণর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, বাগমারার সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ও জেলা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মহসিন আলী।

 ছবি: সৈয়দ নাবিল

অন্যদের মধ্যে রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সভাপতি শওকত আলী, মহানগর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার, বোয়ালিয়া থানা বিএনপি’র সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু, মতিহার থানা বিএনপি’র সভাপতি আনসার আলী, শাহ মখ্দুম থানা বিএনপি’র সভাপতি মনিরুজ্জামান শরীফ, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন, বোয়ালিয়া থানা সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলু, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মুরাদ পারভেজ পিন্টু, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ওয়ালিউল হক রানা, রাজশাহী মহানগর যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন রিমন, মহানগর ছাত্র দলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি, রাবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক সানিন, মহানগর ছাত্রদলে ১নং যুগ্ম আহবাযক আকবর আলী জ্যাকি ও নাহিন আহম্মেদ সহ রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র ৩৭টি ওয়ার্ডের সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উপস্থিত যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্চাসেবক দলের নেতৃবৃন্দরা বলেন, এই সরকার প্রধান বা তার এমপি মন্ত্রীরা শুধু নয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের সকলেই সীমাহিন দুর্নীতি করছে। সেইসাথে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সোনার ছেলেরা টেন্ডারবাজী, জমি দখল, চাঁদাবাজী করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে।

তারা ধর্ষনের সেঞ্চুরী করে নারী সমাজকে আতংকের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। শুধু তাই নয় রাজশাহীর যুবলীগের সুর্যসেনারা সমকামীতাতেও পিছিয়ে নেই। সকল অপকর্মে তারা ওস্তাদের খাতায় নাম লিখিয়েছে। অথচ প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের লোকজন তাদের গ্রেফাতার না করে কোথায় বিএনপি ও অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আছে তাদের কোন অপরাধ না থাকলেও গ্রেফতার করছে, গুম করছে এবং পুলিশ হেফাজতে অমানবিক নির্যাতন করছে। রাতের ঘুম হারাম করে দিয়েছে।

এ নিয়ে প্রতিবাদ করার জন্য মিছিল মিটিং করতে দিচ্ছে না এই সরকার। অথচ সরকার দলীয় লোকজন নির্বিঘেœ যেকোন ধরনের সভা সমাবেশ ও মিছিল করলে পুলিশ তাদের প্রটোকলের ন্যায় নিরাপত্তা দিচ্ছে। মানুষরে দূর্ভোগ করে রাস্তায় সভা করলেও বাধা দিচ্ছে না। একদেশে দৈতনীতি আর চলতে দেওয়া হবেনা। আগামীতে সকল বাধা অতিক্রম করে রাস্তার নেমে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল মিছিল করবে। বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য তারা আর কোন বাধা মানবে না বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

 ছবি: সৈয়দ নাবিল

বিএনপি নেতা মিলন বলেন, দীর্ঘদিন থেকে বেগম জিয়াকে কারাগারে রেখে শারীরিকভাবে অসুস্থ করে ফেলেছে এই সরকার। তাঁকে সুচিৎসা প্রদান করা হচ্ছেনা এমকি তাঁর ব্যক্তিগত ডাক্তারদের দেখা করতে দেওয়া হচ্ছেনা। বেগম জিয়াকে কারাগারে এবং তারেক রহমানের নামে মিথ্যাচার করে দেশে আবার এক এগার নির্বাচন করার স্বপ্নে বিভোর হয়েছে এই সরকার।

আর এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে ১৯ জন কালো কোর্ট পড়ে ভারতের দাদাদের নিকট গিয়েছিলেন ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ এই জালে আর পা দেবেন না। বাংলাদশে এখন বিএনপি’র গণজোয়ার বইছে। এই জোয়ারে আওয়ামী দুর্নীতিবাজরা ভেসে যাবে। পালানোর কোন পথ খুঁজে পাবেনা তারা।

আগামীতে হাসিনা ও তার দোসরদের সকল দুর্নীতির বিচার করা হবে বলে তিনি বক্তব্যে উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন, দেশের তরুন সমাজ তথা ছাত্রদের একটি আন্দোলনে ভীত হয়ে অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার না করে বাতিল করে দিয়েছে। তেমনি আগামীতে বিএনপির আন্দোলনের মুখে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করা হবে এই দুর্নীতিবাজ ও নব্য স্বৈরাচার সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন আরো তীব্রত্বর করা হবে এবং রাজশাহী থেকেই এই আন্দোলনের সুত্রপাত তৈরী করে বর্তমান সরকারের পতন ঘটানো হবে বলে জানান মিলন।

 ছবি: সৈয়দ নাবিল

সভাপতি বক্তব্যে বুলবুল বলেন, গণতন্ত্রের মানষকন্যা, আপোশহীন দেশনেত্রী বেমগ খালেদা জিয়া জেলে থাকলেও বিএনপি’র মধ্যে কোন ভাঙ্গন বা দ্বিধাদন্দ নাই। বিএনপি এখন পূর্বের তুলনায় আরো শক্তিশালী ও একতাবদ্ধ হয়েছে। খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে সরকারের ভীত নড়ে উঠেছে।

গত ১৫ এপ্রিলের জনসমাবেশ দেখে এমপি মন্ত্রীদের গায়ে জ্বালা ধরে গেছে। সকল প্রকার বাধা অতিক্রম করে রাজশাহী বিভাগীয় জনসভায় জনগণের ঢল নামে। এই জনশ্রোতের ত্বরে ভেসে যাওয়ার ভয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। জাল পার্সপোর্ট প্রদর্শন করে তার নাগরিকত্ব নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

এই মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকার জন্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে সতর্ক করে দেন। তিনি আরো বলেন, এই সরকার ব্যাংক ও শেয়ার বাজার লুট, মেগা প্রকল্পের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে তার ছেলে জয় এবং বোন রেহানার নিকট পাচার করেছে।

অথচ সামান্য টাকা যা কোনভাবেই তসরুপ বা নষ্ট হয়নি সেই টাকা নিয়ে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে বেগম জিয়াকে পরিত্যাক্ত জেলের একটি একটি ছোট্ট রুমে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তাকে একটি সিঙ্গেল খাট প্রদান করা হয়েছে। তেলাপোকা ও ইঁদুরের সাথে বেগম জিয়াকে বসবাস করতে বাধ্য করছে এই অনির্বাচিত ও গণতন্ত্র হত্যাকারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বেগম জিয়াকে কারাগারে রেখে কোনভাবেই এদেশে আর একক নির্বাচন করতে দেওয়া হবেনা বলে তিনি হঁশিয়ারী প্রদান করেন। আগামী দিনে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন আরো তীব্র আকার ধারণ করবে। আর এই আন্দোলনে দেশের মানুষকে ও দলীয় নেতাকর্মীদের নির্ভয়ে অংশ গ্রহন করার আহবান জানান তিনি।

সেইসাথে রয়েটের বাস চালক জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সক্রিয় সদস্য আব্দুস সালামের খুনিদের সনাক্ত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার জন্য তিনি পুলিশ ও রুয়ের ভিসি’র নিকট দাবী জানান। দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার করদেত না পারলে আগামীতে রুয়েট ঘেরাও কর্মসূচী পলন করার ঘোষনা দেন বুলবুল। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি) #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.