ক্ষমতা হারানোর আতঙ্কে সরকার জনগণের সাথে অসংলগ্ন আচরণ করছে: খুলনা মহানগর বিএনপি

খুলনা ব্যুরো: খুলনা মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, অবৈধ সরকার গণবিচ্ছিন্ন হয়ে ক্ষমতা হারানোর আতঙ্কে এখন জনগণের সাথে অসংলগ্ন আচরণ করতে শুরু করেছে। তারা চলমান সরকার পতনের গণআন্দোলনকে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে দমন করার জন্য দমন-পীড়ন ও গণগ্রেফতারের পথ বেছে নিয়েছে। তারা সারাদেশেই গণগ্রেফতার শুরু করেছে। পুলিশ দিয়ে পেটানো হচ্ছে জাতীয় নেতাদের। আবার তাদের জন্য উপহার পাঠিয়ে সরকার নির্মম পরিহাসে লিপ্ত হয়েছে।
রবিবার (৩০ জুলাই) বিকাল ৫টায় মহানগর বিএনপির কার্যালয় বিএনপির শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশের অংশ হিসেবে কেন্দ্র ঘোষিত সোমবার (৩১ জুলাই) বিকাল তিনটায় বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় বক্তরা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, ২৮ জুলাই রাজধানীতে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশ বানচাল করতে সরকার বিভিন্নভাবে বাধা দিয়েছে। রাজধানীর সব প্রবেশপথে নেতাকর্মীদের মহাসমাবেশে আসতে বাধা দেয়া হয়েছে। কিন্তু কোনভাবেই জনস্রোত ঠেকাতে পারেনি। এ সরকারকে বিদায় না করতে পারলে দেশের সার্বভৌমত্ব থাকবে না। এদের বিদায় না করতে পারলে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে। সভা থেকে রাজধানীতে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসুচিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সাঁড়াশি আক্রমণ, সরকারদলীয় সশস্ত্র ক্যাডারদের তান্ডবের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানানো হয়। সভা থেকে বিএনপির শান্তপূর্ণ কর্মসুচিতে পুলিশের নির্বিচারে গুলিবর্ষণ, কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ ও বেপরোয়া লাঠিচার্জে অগণিত নেতাকর্মীসহ দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে রাস্তার ওপর ফেলে দিয়ে মাথায় ও হাতে-পায়ে নির্দয়ভাবে আঘাত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানানো হয়। সভা থেকে গাবতলী’র অবস্থান কর্মসূচি থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র আহবায়ক ও সাবেক মন্ত্রী আমান উল্লাহ আমানকে টেনে-হিঁচড়ে পুলিশ আটক করার ঘটনায় নিন্দা জানানো হয়।  বাংলাদেশের নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে সেটিই বিএনপির দুই নেতাকে সমাদর করার কারণ হিসেবে দাবি করেছেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ। অসুস্থ দুই নেতাকে ‘ফুল আর খাবার দিয়ে গোপনে ভিডিও করে তা প্রচার’ করা হয়েছে বিভ্রান্তি তৈরির জন্য বলে উল্লেখ করেন নেতৃবৃন্দ।
ঢাকার মহাসমাবেশ ও অবস্থান কর্মসুচিতে অংশগ্রহনকারী খুলনাবাসি ও বিএনপির নেতকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও ধন্যবাদ জানানো হয়। একই সাথে ঢাকায় গ্রেফতারকৃত খুলনা বিএনপির ১২ নেতাকর্মী নি:শর্ত মুক্তি দাবি করা হয়েছে। সভা থেকে আজকের সমাবেশ সফল করতে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোহি সংগঠনের নেতাকর্মীসহ খুলনাবাসির প্রতি আহবান জানানো হয়।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে ও মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন স ম আ. রহমান, সৈয়দা রেহেনা ঈসা, শের আলম সান্টু, বদরুল আনাম খান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, কে এম হুমায়ূন কবির, হাফিজুর রহমান মনি, আবু মো. মুরশিদ কামাল, শেখ জাহিদুল ইসলাম, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, শেখ ইমাম হোসেন, আবু সাইদ হাওলাদার আব্বাস, শাহিনুল ইসলাম পাখি, জহর মীর, নাজির উদ্দিন নান্নু, আহসান উল্লাহ বুলবুল, শেখ জামাল উদ্দিন, কাজী আফসার উদ্দিন, নাসির খান, আব্দুস সালাম, খন্দকার হাসিনুল ইসলাম নিক, মিজানুর রহমান মিলটন, শফিকুল ইসলাম শফি, আলী আক্কাস, ফারুক হোসেন, মুজিবর রহমান, আব্দুল ওহাব, কাজী কামরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান আসাদ, যুবদলের নেহিবুল হাসান নেহিম, ছাত্রদলের ইস্তিয়াক আহমেদ ইস্তি, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিকুল ইসলাম শাহিন, মুন্তাসির আল মামুন, কৃষকদলে সজীব তালুকদার, তাঁতীদলের আবু সাঈদ শেখ প্রমূখ।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মাশরুর মুর্শেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.