কসবায় শিশু ধর্ষণের চেষ্টায় এক শিক্ষক গ্রেপ্তার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় তৃতীয় শ্রেনীতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে চাঁন মিয়া (৬০) নামে এক শিক্ষককে  আজ রোববার (৩১মার্চ) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত চাঁন মিয়া কসবা পশ্চিম ইউনিয়নের মীরতলা গ্রামের মৃত আবদুল মজিদ মিয়ার ছেলে এবং সে একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। বর্তমানে মীরতলা গ্রামের মায়ামনি কিন্ডার গার্টেন স্কুলের সহকারী শিক্ষক। এ ঘটনায় তাকে স্কুল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে বলে জানান প্রধান শিক্ষক জহিরুল হক।

জানা যায়, ধর্ষক চাঁন মিয়া মীরতলা বাজারের পাশে অবস্থিত মায়ামনি কিন্ডার গার্টেনে শিক্ষকতার সুবাদে বিকেল বেলা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত স্কুলের একটি কক্ষে প্রাইভেট পড়াতেন । প্রতিদিনের ন্যায় গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় শিশুটি সহ আরো ৫/৬ জন শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়তে যায়। প্রাইভেট পড়া শেষে সকলকে বিদায় করে দিলেও নানা ছলনায় ওই শিশুটিকে আটকে রাখে এবং তাকে ভয় দেখিয়ে উলঙ্গ করে ধর্ষনের চেষ্টা করে। শিশুটি আর্তচিৎকার করলে ওই শিক্ষক তার হাতে ২০ টাকা দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেয়।

শিশুটি বাড়ি গিয়ে তার মাকে এ ঘটনা জানালে ওই শিশুর মা তাৎক্ষনিক বাড়ির লোকজনদের জানায়।  সাথে সাথে গ্রামবাসী ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে ধর্ষক চাঁন মিয়াকে উত্তম মধ্যম দিয়ে আটক করে রাখে। খবর পেয়ে কসবা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে  পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই গ্রামের সর্দাররা পরদিন সকালে সালিশ করার অজুহাতে তাকে ছেড়ে দেয়। এস.আই জসিম উদ্দিন জানান, তিনি শিশুর পরিবারের সকলকে সকালে এসে মামলা দিতে অনুরোধ করে এসেছেন। গতকাল রোববার সকালে গ্রামের সাহেব সর্দাররা সালিশের মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করার সময় কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মাননীয় আইনমন্ত্রী দ্বারা আদিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে পৌছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্র-যুবকরা জানান পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সর্দার-মাতব্বররা ছত্রভংগ হয়ে যান। পরে চাঁন মিয়াকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ আবদুল মালেক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিটিসি নিউজকে বলেন, রোববার সকালে আমরা ধর্ষককে আটক করেছি এবং তার বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা ইসলাম বিটিসি নিউজকে জানান, খবর পেয়ে গতকাল শনিবার রাতেই কসবা থানা কর্তৃপক্ষকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তাঁর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় পুরো এলাকা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি মোঃ লোকমান হোসেন পলা।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.