ঢাকাপ্রতিনিধি: অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, করোনা অতিমারির কারণে পুরো বিশ্বই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। যে কোনো মহামারির সময় চ্যালেঞ্জ আসে। পাশাপাশি সম্ভাবনাও তৈরী হয়।
অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের সামনে সম্ভাবনা বেশী। আগামী দিনে বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক ভালো করবে।
আজ বুধবার (২৩ জুন) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ১৬টি প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে। এসব প্রস্তাবে ব্যয় হবে এক হাজার ৩৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে খরচ হবে ৬৩৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। বিশ্বব্যাংক, এডিবি, ইআইবি ও ডানিডা থেকে ৪০৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকা আসবে ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে।
বাজেট ঘাটতি নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে কামাল বলেন, উন্নত ও উন্নয়নশীল সকল দেশের বাজেটেই ঘাটতি রয়েছে। বাংলাদেশের ঘাটতি তুলনামুলকভাবে কম। যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি জিডিপির ১৮ শতাংশ, ভারতের ১৩ শতাংশ, জাপানের ১২ দশমিক ৯ শতাংশ, চীনের ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ৮ ও ভিয়েতনামের ৬ দশমিক ২ শতাংশ। তাই ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই।
তিনি বলেন, অর্থনীতি ভালো অবস্থায় আছে। রাজস্ব আয় বেড়েছে। রপ্তানী ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও রেমিটেন্স আহরণে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। ফলে বাজেট ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগের প্রয়োজন নেই।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে কামাল বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্বে সরকার মামলা করেছে। মামলাগুলো বিচারাধীন। ফলে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করবেন না।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ভারতের কাছ থেকে পরবর্তী ধাপের টিকা পাওয়ার সর্বশেষ অগ্রগতি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে আছে।
তিনি বলেন, লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কম রাজস্ব আহরণের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে এককভাবে দোষ দেওয়া যাবে না। সময় স্বাভাবিক যাচ্ছে না। এর মধ্যে যে কিছু কাজ হয়েছে সেটাই ভালো। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কাজের গতি বাড়বে।
তিনি বলেন, মোট রাজস্ব সংগ্রহ বেড়েছে। কিছু ইএফডি মেশিন বসানো হয়েছে। আরও বসানো হবে। এগুলো এনবিআরের কেন্দ্রিয় সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। আশা করা যায় আগামীতে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.