করোনার নতুন প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কায়, আংশিক লকডাউন বেইজিংয়ে

ছবি: সংগৃহীত

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনাভাইরাসের নতুন করে প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কায় চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের কিছু এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। বেইজিংয়ের জিনফাদি মাংসের বাজার থেকে নতুন করে ৬জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার পর আজ শনিবার (১৩ জুন) এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

গত দুই দিন ধরে নতুন এই ক্লাস্টার জোন থেকে করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়ায় বাজারটি বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এদিকে এই ঘটনায় দক্ষিণ বেইজিংয়ের ১১টি আবাসিক এলাকায় আবারও নতুন করে লকডাউন জারি করা হয়েছে। স্থানীয় প্রায় নয়টি স্কুল এবং কিন্ডারগার্টেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, বেইজিংয়ে স্থানীয় সংক্রমণের আশঙ্কা করা হচ্ছে। নতুন করে করোনায় যারা সংক্রমিত হয়েছেন, তাদের বেশীর ভাগেরই অসুস্থ হওয়ার সঙ্গে স্থানীয় জিনফাদি মাংসের বাজারের যোগসূত্র রয়েছে।

কর্মকর্তারা বলেন, গত দুই মাসের মধ্যে বেইজিংয়ে (কোভিড-১৯) রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম। সংক্রমিত ব্যক্তিরা অনেকে গত সপ্তাহে স্থানীয় সিনফাদি মাংসের বাজারে গিয়েছিলেন। এর মধ্যে বেইজিংয়ের ভেতর বাইরের কারও আসা-যাওয়ার ঘটনা ঘটেনি।

নতুন করে যে ছয়জন আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের তিনজন সিনফাদি মাংসের বাজারের কর্মী, একজন বাজার ভ্রমণকারী আর বাকি দুজন সাত কিলোমিটার দূরের চায়না মিট রিসার্চ সেন্টারের কর্মী। গত সপ্তাহে একজন কর্মীও বাজারে গিয়েছিলেন। কর্তৃপক্ষ ওই বাজার বন্ধ করে দিয়েছে। এর পাশাপাশি একজন সংক্রমিত ব্যক্তি নিকটস্থ যে সামুদ্রিক খাবারের বাজারে গিয়েছিল, সেটিও বন্ধ করা হয়েছে।

ওই দুটি বাজারে শত শত পুলিশ কর্মকর্তা ও প্যালামিলিটারি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সিনফাদি বাজারের চেয়ারম্যান বেইজিং নিউজকে বলেছেন, ভাইরাসটি আমদানি করা স্যামন মাছ কাটার চপিং বোর্ডে পাওয়ার পর বেইজিংয়ের খাবার সরবরাহ ব্যবস্থা নিয়ে ভীতি ছড়িয়েছে।

বেইজিং বাজার পর্যবেক্ষণ কর্তৃপক্ষ শহরজুড়ে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি তদন্ত করতে টাটকা ও হিমায়িত মাংস, পোলট্রি ও মাছের বাজার, ওয়্যারহাউস, কাটারিং সেবা—সব পর্যবেক্ষণ শুরু করছে। রাতারাতি বড় সুপারমার্কেট চেইনগুলো রাজধানী থেকে তাদের স্যামন মাছ সরিয়ে ফেলেছে। অনেক রেস্তোরাঁ স্যামন মাছ পরিবেশন বন্ধ করে দিয়েছে। সিনফাদি বাজারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন, সবার দ্রুত পরীক্ষার জন্য ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া বাজারের কর্মীদের পরীক্ষা হচ্ছে।

গত বছর উহান শহরে প্রথম রোগটি শনাক্ত হওয়ার পরে কঠোর বিস্তৃত লকডাউনের মাধ্যমে চীনের অভ্যন্তরীণ প্রাদুর্ভাবটি বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছিল। সংক্রমণের হার কমে যাওয়ায় ওই কঠোর লকডাউন অনেকটাই শিথিল করা হয়েছে। সাম্প্রতিক কালে যেসব সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছেন, তারা বেশীর ভাগ অভিবাসী। #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.