এবার ক্রিমিয়া ছাড়ছে রুশ বাহিনী?

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পূর্ব ইউক্রেনের খারকিভের পর এবার ক্রিমিয়া ছাড়ছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনীয় গোয়েন্দাদের বরাত দিয়ে এমন খবর দিয়েছে ইউক্রেনের ইংরেজি ভাষার সংবাদপত্র দ্য কিয়েভ ইন্ডিপেনডেন্ট। টুইটারে দেওয়া পোস্টে এমন দাবি করেছে তারা।
ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে টুইটে বলা হয়, রুশ দখলদাররা তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে দক্ষিণ ইউক্রেনের ক্রিমিয়া ছেড়ে যেতে শুরু করেছে। প্রধান গোয়েন্দা অধিদফতর জানিয়েছে, রুশ প্রক্সি, গোয়েন্দা কর্মকর্তা এবং সামরিক কমান্ডারদের জরুরিভিত্তিতে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর পূর্ব ইউক্রেনে নিজেদের প্রধান ঘাঁটি ছেড়ে যায় রুশ বাহিনী। ইউক্রেনীয় বাহিনীর অভিযানের মুখে খারকিভ প্রদেশের ইজিউম শহরে অবস্থিত ওই ঘাঁটি থেকে পালিয়ে যায় কয়েক হাজার রুশ সেনা। ঘাঁটিতে বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদের মজুদ এবং বিভিন্ন সরঞ্জাম ফেলে যায় তারা। এ ঘটনায় উজ্জীবিত হয় কিয়েভ।
খারকিভের ঘটনার পর রাশিয়ার হাতে বেদখল হওয়া ইউক্রেনের সব ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারে নজর দেয় ইউক্রেন। এ লক্ষ্য অর্জনে কিয়েভকে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় অস্ত্র সরবরাহের জন্য পশ্চিমা মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
এদিকে পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর পিছু হটার ঘটনায় ক্ষুব্ধ রুশ জাতীয়তাবাদীরা। গত ১০ সেপ্টেম্বর রুশ সেনারা অঞ্চলটিতে নিজেদের প্রধান ঘাঁটি থেকে পালিয়ে আসে। এরপর থেকেই ইউক্রেন যুদ্ধে অবিলম্বে চূড়ান্ত বিজয় নিশ্চিতের জন্য প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি দাবি জানাতে শুরু করে ক্ষুব্ধ রুশ জাতীয়তাবাদীরা। এজন্য যুদ্ধক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনয়নেরও দাবি তুলেছে তারা।
ভ্লাদিমির পুতিনের মিত্র হিসেবে পরিচিত চেচেন নেতা রমজান কাদিরভও রুশ বাহিনীর পিছু হটার ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তার ভাষায়, ‘প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে যারা আছেন আমি তাদের মতো কৌশলবিদ নই। কিন্তু এটা পরিষ্কার যে, ভুলগুলো হয়েছে। আমি মনে করি তারা কয়েকটি উপসংহার টানবে। আজ বা কাল যদি বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে পরিবর্তন করা না হয়, তাহলে আমি দেশের নেতৃত্বের কাছে যেতে বাধ্য হবো, যাতে তাদের কাছে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করা যায়।’
বহু রুশ সামরিক ব্লগারও বিষয়টি নিয়ে নিজেদের ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন। টেলিগ্রামে প্রচুর ফলোয়ার রয়েছে ক্রেমলিন সমর্থক এমন কিছু সংবাদদাতা এবং সাবেক ও বর্তমান কিছু কর্মকর্তা এমন পরিস্থিতির জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে দায়ী করেছেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.