উজিরপুরে হতদরিদ্রদের চাল বিতরণে ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যাপক দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ

উজিরপুর প্রতিনিধি: বরিশালের উজিরপুরে ১০টাকা কেজি চাল বিতরণ নিয়ে ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যাপক দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের কালিহাতা ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম সরদার ও প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির তালিকাভুক্ত সুবিধা বঞ্চিত পরিবাররা ডিলার আব্দুল আল মাতিনের বিরুদ্ধে চাল বিতরণে অনিয়ম, সংশোধনীয় সদ্য তালিকা ভুক্তদের বঞ্চিত ও কার্ডধারীদের আটকে রেখে চাল না দেয়া সহ বিভিন্ন দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করেছে।

জানা যায়, কার্ড নং ৩৭৪ পূর্বে নামছিল প্রতিবন্ধী আজিজ ফরাজী বর্তমানে তা সংশোধন করে তার স্ত্রী কহিনুর বেগমের নাম অন্তভূক্ত করা হয়। ১৩৪৭ নং কার্ড পূর্বে নাম ছিল শেরাজুল ইসলাম বর্তমানে ইউনুস শরীফ হয়েছে, কার্ড নং ১৩৪৮ পূর্বে ছিল সুমা বর্তমানে তাছলিমা বেগম করা হয়েছে।

২৮০ নং কার্ডে পূর্ব নাম ছিল মাহফুজা বর্তমানেও মাহফুজা হয়, ২৯১ নং কার্ডে পূর্ব নাম ছিল হারুন বর্তমানেও হারুন হয়। ৩৮৭ নং কার্ডে মনোয়ারা তা বর্তমানে সাথী হয়। ১৩৪৯ নং কার্ডে টিপু হাওলাদার বর্তমানেও টিপু হাওলাদার হয়।

১৩৫১ নং কার্ডে নুরু সিকদার ছিল বর্তমানেও নুরু সিকদার হয়। ১৩৫০ নং কার্ডে পূর্ব নাম ছিল আলম হাং, বর্তমানেও আলম, ১৩৫২ নং কার্ডে সেলিম ফকির তা বর্তমানে হয়েছে চান শরীফ, ৩৩০ নং কার্ডে পূর্ব নাম ছিল হারুন সিকদার বর্তমানে নাম হয় সাইফুল মুন্সী, ২৯১ নং কার্ডে পূর্ব নাম ছিল মাছুম মোল্লা বর্তমানেও মাছুম মোল্লার নাম অর্ন্তভূক্ত হয়।

তারাসহ অনেকে চাল পায়নি। এরমধ্যে ২৮০ নং ২৯১ নং ৩৪৮ নং কার্ডসহ অনেকে ৩ বছর যাবৎ চাল পাচ্ছেনা। এমনকী ডিলার মাতিন ওই কার্ডগুলির চাল অনত্র দেয়।

আরো জানান, ডিলার ক্ষমতার দাপটে একাধিক কার্ড হোল্ডারদের কার্ড আটকে রেখে চাল না দিয়ে ৩/৪ বছর ধরে অন্যত্র অবৈধভাবে চাল বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২ জুন) চাল দেয়ার কথা শুনে তালিকা ভুক্ত নারী, পুরুষ বৃদ্ধরা সকলে দিনভর চাল পাবার আসায় খড়া রৌদ্র উপেক্ষা করেও চাল পায়নি। এ নিয়ে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয় তালিকাভুক্ত সুবিধা বঞ্চিত পরিবারদের মধ্যে।

তদন্ত সাপেক্ষে ওই দূর্নীতিবাজ অনিয়মকারী ডিলার আব্দুল আল মাতিনের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় প্রণতি বিশ্বাসের সু-দৃষ্টি কামনা করেন সুবিধাবঞ্চিত পরিবাররা।

এ ব্যাপারে ট্যাগ অফিসার শাহারিয়া বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, তার স্ত্রী অসুস্থ্য থাকায় তিনি ছুটিতে রয়েছে। চাল বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেননা। ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইউসুফ হোসেন হাওলাদার জানান সংশোধন হোক আর যাই হোক না কেন কার্ড ছাড়া কাউকেই চাল দেওয়া যাবেনা।

এ বিষয়ে সাইনবোর্ড শাটিয়ে দেয়া হয়েছে।

ডিলার আল মাতিন বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, প্রথমে খাদ্য কর্মকর্তা আমাকে চাল দিতে বলেছিলেন কিন্তু ১৫মিনিট পরেই আবার ফোন করে নিষেধ করেন। তাই আমি সংশোধন হয়ে সদ্য তালিকায় নাম অর্ন্তভূক্তদের কাউকে চাল দিবনা।

একমাত্র কার্ডধারীদের মধ্যেই খাদ্য চাল বিতরণ করা হবে। উপজেলা কর্মকর্তা মোঃ শওকত আলীর সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণতি বিশ্বাস বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, নিরাস হওয়ার কিছুই নেই যদি সঠিকভাবে কারো নাম সংশোধন হয়ে নতুনভাবে তালিকাভুক্ত হয়ে থাকে তাহলে তারা চাল পাবে।

এছাড়াও খাদ্য কর্মকর্তা অফিসিয়াল কাজে বরিশালে রয়েছে সে আসার পরে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর উজিরপুর প্রতিনিধি আঃ রহিম সরদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.