উজিরপুরে ধর্ষন মামলা নিয়ে জনমনে হাজারো প্রশ্ন!

উজিরপুর প্রতিনিধি:  উজিরপুরের শিকারপুর বন্দরে দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধুর দায়ের করা উজিরপুর থানায় একটি ধর্ষন মামলা নিয়ে জনমনে হাজারো প্রশ্ন উঠেছে।

পরকিয়া প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষনের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয় তার মধ্যে মূল আসামী মাইনুল ইসলাম ছাড়াও সহযোগী আসামী করা হয়েছে ওই বন্দরের তারেক নামক একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসায়ীকে ও শাওন মৃধা নামক ঢাকার তিতুমীর কলেজ এক ছাত্রলীগ নেতাকে। মামলার তদন্তকারী কর্মকতা উজিরপুর থানার এস আই জসিমের বিরুদ্বে উঠেছে নানা অভিযোগ।

এদিকে কথিত ধর্ষনের শিকার মামলার বাদীর বিরুদ্বে ওই বন্দরের এক ব্যাবসায়ী ও পল্লী চিকিৎসকে তার ইজ্জত হরনের অভিযোগ তুলে ব্ল্যাক মেইল করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়াও শিকারপুর এলাকায় কালাম মুন্সী নামক বাড়ীর মালিকের বিরুদ্বে মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাকে সন্মানহানি করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্বে।নানা অভিযোগে অভিযুক্ত ওই নারী বাদী হয়ে শিকারপুর বন্দরের ব্যাবসায়ী তারেকের বিরুদ্বে মামলা দায়ের হবার পর সাধারন ব্যাবসায়ীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

থানায় মামলা দায়ের হওয়ার ২ দিন আগে ২৯ আগষ্ট বৃহস্পতিবার রাত ১২ টার পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উজিরপুর থানার এস আই জসিম মামলার কথিত আসামী শিকারপুর বন্দরের ব্যাবসায়ী তারেকের দোকানে তল্লাসী করে । ব্যাবসায়ী কমিটির নেতাদের কাছে তখন এস.আই জসিম বলেন ধর্ষনের অভিযোগে তিনি আসামী ধরতে আসছেন তবে তারেকের নামে কোন অভিযোগ নাই তারেককে দোকানে পেয়েও তারা চলে যায়। যা ওই দোকানের সিসি ক্যামেরায় ফুটেজে রয়েছে। হঠাৎ করে ২দিন পর মামলায় তারেককে আসামী করা হলে ওই বন্দরের সাধারন ব্যাবসায়ীদেও মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

শিকারপুর বন্দরের একাধিক ব্যাবসায়ী বিটিসি নিউজকে জানান কথিত ধর্ষনের শিকার মামলার বাদীর বিরুদ্বে সাধারন মানুষকে প্রতারনার মাধ্যমে হয়রানীর সহ নানা অভিযোগ পুলিশকে জানালেও থানা পুলিশ ওই নারীর বিরুদ্বে কোন ব্যাবস্থা না নিয়ে উল্টো সাধারন মানুষকে হয়রানী করছেন।

শিকারপুর বন্দরে মঞ্জু ডাক্তার নামের এক ব্যাবসায়ীকে কথিত শ্লিলতাহানীর অভিযোগ তুলে ওই নারী ৫০ হাজার টাকা দাবী করা ও টাকা আদায়ের দরকষাকশি মুঠোফোনের অডিও রেকড ভাইরাল হওয়ার পর ধর্ষনের মামলায় ব্যাবসায়ী তারেককে আসামী করা অর্থ হাতিয়ে নেয়ার আর একটি অপকৌশল কিনা তা খতিয়ে দেখতে পুলিশের উর্ধোতন কর্মকতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন শিকারপুর বন্দরের ব্যাবসায়ীরা।

সরোজমিনে গিয়ে জানাযায়, ধর্ষন মামলার বাদী গৃহবধুর স্বামী সৈয়দ আরিফুর রহমানের স্থায়ী বাড়ি মুন্ডপাশা গ্রামে হলেও রহস্যজনক কারনে শিকারপুর বন্দরে প্রায় ২ বছর ধরে ওই গৃহবধু বিভিন্ন বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করছে। বন্দরের অদুরেই মুন্ডপাশা গ্রামের ফারুক মীরার পুত্র আরিফের স্ত্রী ওই গৃহবধু সে বাড়িতে বসবাস না করে শিকারপুরে ভাড়ার বাসায় বসবাস করার নানা রহস্যও উন্মচোনের দাবী করেন এলাকার ব্যাবসায়ীরা।

কালাম মুন্সী নামক এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাড়ায় থাকার সময় ওই নারীর নানা অনৈতিক কাজে বাড়ি মালিক বাসা ছেড়ে দিতে বললে তাকেও নানা অপবাদ দিয়ে হয়রানী করে বলে কালাম মুন্সী বিটিসি নিউজকে কাছে জানান।

শিকারপুর বন্দরের স্থানীয় একাধিক ব্যাবসায়ী বলেন, ধর্ষন মামলার বাদী বন্দরের ব্যাবসায়ী তারেককে আসামী করেছে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার জন্য। মামলার তদন্তকারী কর্মকতা উজিরপুর থানার এস আই জসিমের বিরুদ্বে উঠা অভিযোগ প্রসংগে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন মামলার মূল আসামী তারেকের দোকানের কর্মচারী মাইনুল। তারেক তাকে সহয়াতা করায় মামলায় বাদী তাকে আসামী করেছেন।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর উজিরপুর প্রতিনিধি আঃ রহিম সরদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.