কিশোর গ্যাং পরিচালনার নেপথ্যে কারা?, পলাশবাড়ীতে অপরাধ অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে উঠতি বয়সের কিশোর যুবকরা!

গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় নামে বেনামে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে জমি দখল, ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, যৌন হয়রানী, মাদক, ছিনতাই ও ছিঁচকে চুরির মত নানা অপরাধ অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে উঠতি বয়সের কিশোর যুবকরা।
এলাকার বড় ভাই,দাদা ভাই,বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের লিডারদের ছত্র ছায়ায় থেকে তারা দিব্যি এসব অপরাধ কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে । দাদা ভাই ও বড় ভাইয়ের সান্নিধ্য পেতে এরা সব কিছু করতে পারে।
এদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হলে এসব দাদা ভাই বড় ভাইয়ের টাকায় আইনের জাল ছিদ্র করে জেল থেকে বেরিয়ে আসে।
স্মাগলার, কালোবাজারীরা নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখতে এসব অপরাধীদের লালন পালন করে থাকে । তাদের ছত্র ছায়ায় থেকে এরা দিব্যি চলাফেরা করে।
এসব চিহ্নিত কালোবাজারি স্মাগলার, মাদক ব্যাবসায়ীদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তাদের পিছনে লেলিয়ে দেয়া হয় এসব কিশোর অপরাধীদের। সামান্য টাকার লোভে এরা মানুষকে লাঞ্চিত অপমানিত করে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করে। তাদের ইশারায় অনেক সরকারি  কর্মকর্তা কর্মচারী লাঞ্চিত হয়।
কাজ কর্ম না থাকা বেকার এসব ভবঘুরে সন্ত্রাসীরা বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পৌর শহর ও এর আশপাশ এলাকায় মাদক ব্যবসা চাঁদাবাজি ও ধান্দাবাজি করে থাকে।এক প্রকার ফিটিংবাজি করে চলে এদের জীবন। সন্ধার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে এদের  গাঁজা ও ইয়াবার আসর।
অনেকে নেশা জাতীয় ট্যাবলেট সেবন করে নিত্য নতুন পরিকল্পনা তৈরি করে। কোন কিছুই যেন এদের কাছে অসম্ভব নয় টাকা হলেই এরা সব পারে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন মামলায় এদের গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠালে ও জামিনে বেরিয়ে এসে আবারো দিব্যি চলাফেরা করে।
এলাকার সচেতন মহল মনে করেন এদের অর্থ দাতা ও আশ্রয় প্রশ্রয় দাতাদের সনাক্ত করে তালিকা প্রনয়নের পাশাপাশি আইনী ব্যাবস্থা গ্রহন করা হলে কিশোর অপরাধ অনেকটাই কমে আসবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গাইবান্ধা প্রতিনিধি মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.