ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষয়ক্ষতি চীনের জন্য সতর্কবার্তা

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ার নিয়ন্ত্রিত দোনেৎস্ক অঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় সম্প্রতি হামলা বাড়িয়েছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। এমনকি রাশিয়ার দখলকৃত ৪০ শতাংশ ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারের দাবি করেছে ইউক্রেন।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিভিন্ন ফ্রন্টে এভাবে রাশিয়ার পরাজয়ের দিকে ইঙ্গিত করে চীনকে সতর্ক করেছেন ইতালিয়ান ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষক সার্জিও রেস্টেইল।  
বেইজিংকে সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘যারা বলপ্রয়োগ করে তাইওয়ানকে দখল করতে চায় তাদের মনে রাখা উচিৎ সাম্রাজ্যবাদী উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং মহাছায়াপথের যুদ্ধের যুগ শেষ হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে ইউক্রেনে শক্তিশালী রাশিয়ার অনেক সেনা নিহত হয়েছে এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বহু বিজিত অঞ্চল ইউক্রেন ফের দখল করে নিয়েছে। যুদ্ধক্ষেত্রের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনগুলো তাইওয়ান দখলের ব্যাপারে বেইজিংয়ের জন্য একটি কঠোর সতর্কতা হিসেবে প্রদান করে।’
টাইমস অব ইসরাইলে লেখা এক কলামে রেস্টেইল এসব কথা লিখেছেন বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআই জানিয়েছে।
এই বিশ্লেষক আরও বলেন, বর্তমান বিশ্বে ব্যবসায়িক, প্রযুক্তিগত এবং আন্ত:সম্পর্কে দেশগুলো একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।  এখানে বলপ্রয়োগ করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করা সহজ নয়। পুরো বিশ্ব এখন শান্তি বিনির্মানে ঐক্যবদ্ধ। কোন পরাশক্তির অবৈধ আক্রমণ ছেড়ে কথা বলা হচ্ছে না। যার ফলে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণের ফলে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, যেখানে এখন তাদের বিজয়ের কোনো সম্ভাবনা নেই।
ইতালিয়ান বিশ্লেষকের মতে, তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে চীনের ধারাবাহিক হুমকি রাশিয়ার পাশ্ববর্তী অঞ্চল দখলের মনোভাবের সঙ্গে সাদৃশ্য রাখে।
তিনি বলেন, পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)  হয়তো বিশ্বের দ্বিতীয় শক্তিশালী সেনাবাহিনী। তবে তারা পশ্চিমাদের মদদপুষ্ট তাইওয়ান সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে জয়লাভ করতে সক্ষম হবেনা। কারণ ইতোমধ্যেই পশ্চিমা বিশ্ব করোনা মহামারি এবং ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে শিক্ষা নিয়ে কঠিনভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
ইতালীয় এ ভূ-রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের মতে, চীন যদি তাইওয়ানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়েও যায় তাহলে তাদের যুদ্ধের ময়দান ইউক্রেনের চেয়ে ভিন্ন হবে। ইউক্রেনে রাশিয়া স্থলে-বন্দরে যুদ্ধের রসদ জমা করতে সক্ষম হলেও চীনের জন্য নৌপথ ছাড়া যুদ্ধে রসদ জোগান দেওয়ার আর কোনো পথ নেই। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.