আমাদের ইজ্জত-সম্মান, আপনাদের হাতে: ইসি রফিকুল

ঢাকা প্রতিনিধি: আজ শনিবার নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেছেন, সত্যিকার অর্থে নির্বাচন করেন আপনারা (কর্মকর্তারা)। নির্বাচনের প্লানিংটা করে নির্বাচন কমিশন ও সচিবালয়। আমাদের মান-সম্মান, ইজ্জত আপনাদের হাতে ন্যস্ত। নির্বাচনের সব দায়িত্ব আপনারা পালন করবেন।

আজ শনিবার  নির্বাচন ভবনে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে এ কথা বলেন তিনি।

রফিকুল ইসলাম বলেন, আপনারা নিরাপত্তার জন্য চিন্তা করবেন না। একেবারে চৌকিদার থেকে সেনাবাহিনীর কেউ বাদ থাকবে না। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সবাই যুক্ত থাকবেন। আপনাদের দুঃশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই; আপনাদের জীবন, মালামাল নিয়ে। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আপনারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখবেন। আপনার অনুমতি ছাড়া তারা যেন কোথাও যেতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।

তিনি বলেন, কেন্দ্রে আসতে পারবে কি-না, কেন্দ্রে গেলে তো ভোট দেবো, এ রকমও প্রশ্ন আসছে। এজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আছে। দরকার হলে আমরা আরো ব্যবস্থা নেবো যাতে করে ভোটাররা ভোট দিতে কেন্দ্রে আসতে পারেন। তারপরও যদি কোনো এক্সিডেন্ট হয়, তাহলে আপনাদেরকে কথা দিচ্ছি আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবো।

ইসি বলেন, নির্বাচনের মালামাল গ্রহণের সময় সবকিছু আপনারা বুঝে নেবেন। এগুলো আপনাদের দায়িত্বে থাকবে। আপনারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বা কারও কাছে এগুলো রেখে কোথাও যাবেন না। তারাও ব্যালটের অপব্যবহার করতে পারে, যদিও তারা তা করবেন না। তারপরও আপনি সার্বক্ষণিক এগুলোর সঙ্গে থাকবেন। কারণ এগুলো নেওয়ার সময় আপনি (প্রিজাইডিং অফিসার) স্বাক্ষর করে নেবেন। তাই এর দায় দায়িত্বও আপনার যোগ করেন তিনি।

প্রকাশ্যে ভোট দেওয়া বেআইনি উল্লেখ করে সংশ্লিষ্টদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড অ্যালাউ না করার জন্য নির্দেশনাও দেন এই নির্বাচন কমিশনার।

রফিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনের দিন পত্রিকা-টেলিভিশনে আমরা দেখতে পাই, একজন ভোটার এসে বলছে আমার ভোটটা দেওয়া হয়ে গেছে। যদি নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তারা ঠিকমত তার কাজটা করেন, তাহলে একজনের ভোট আরেকজনের দেওয়ার কথা নয়।

তিনি বলেন, নির্বাচন মানে একদিন, মানে সেই নির্বাচনের দিন। এই নির্বাচনের দিন কি হলো, এটা যদি ঠিক না হয়, এটা যদি আইনানুগ না হয়, তাহলে পরে কিন্তু আমরা সবাই প্রশ্নবিদ্ধ হবো।

ইসি বলেন, ছবিসহ ভোটার তালিকা আছে। ঠিক মতো যদি আইডিন্টেফিকেশন হয়। যদি আপনারা কাউকে জোড় করে বের করে না দিয়ে এজেন্টদের ঠিকমত রাখেন। তাহলে কোনোক্রমেই একজনের ভোট আরেকজন দিতে পারবে না।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.