আপন সহোদর এবং তার ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের অত্যাচার ও নির্যাতনে অতিষ্ঠ পুরো পরিবার

নাটোর প্রতিনিধি: আপন ছোট ভাই মাহবুব আলম এবং তার পাবনা থেকে ভাড়া করা সন্ত্রাসীদের অত্যাচার ও নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নাটোরের বাগাতীপাড়া উপজেলার তালতলা গ্রামের মিজানুর রহমানসহ পরিবারের সদস্যরা।

বৃদ্ধ বাবা,মা থেকে শুরু করে অপর তিন ভাইকে একাধিকবার মারপিট নির্যাতন করেছে। সহোদর ভাইয়ের অত্যাচারে অতিষ্ঠ বৃদ্ধ জহুরুল ইসলামের সন্তানেরা বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতা ও উৎকন্ঠার মধ্যে দিনানিপাত করছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২০ আগষ্ট) সকালে নাটোর শহরের হাফরাস্তা এলাকার বাসভবনে সহোদর ছোটভাই মাহবুব আলমের মারপিটে শয্যাশায়ী বড় ভাই মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে মধ্যযুগীয় কায়দার মারপিট করার বর্ণণা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন,আপন সহোদর ছোট ভাই মাহবুবুল অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক বাবা জহুরুল ইসলামের নিকট পেনশনের টাকাসহ তার প্রাপ্য জমি বুঝে নেয়। পরে আমাদের প্রাপ্য জমি দখলের জন্যে আমার বৃদ্ধ মা বাবা সহ অপর তিন ভাইকে একাধিকবার মারপিট করে । এ বিষয়ে বাগাতিপাড়া থানায় একাধিক মামলায় রয়েছে।

গত ১৫ আগষ্ট সহোদর মাহবুব আলম তাঁর শ্বশুরবাড়ী পাবনা থেকে সন্ত্রাসী নিয়ে এসে মিজানুর রহমানকে মারপিট করে পা ভেঙ্গে দেয় । এখন সে তার পরিবারের সদস্যদের প্রাননাশের হুমকী দিচ্ছে। অনেক অত্যাচার নির্যাতন সহ্যসহ হত্যার হুমকী-ধুমকীর পর নিরুপায় হয়েই সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে নিজের জীবন সহায় সম্পত্তি রক্ষার জন্যে সহযোগীতা পেতেই লিখিত অভিযোগ করেছেন।

তিনি আরোও বলেন,মাহবুবুল আলম এবং পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার ধুলাউড়ি গ্রামের মৃত রাব্বানী প্রামাণিকের ছেলে আশরাফ আলী নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।

ইতিপূর্বে তারা আমার অশীতিপর বৃদ্ধ মমেনা বেগম এবং অপর তিনভাইকে মারপিট করে রক্তাক্ত করেছে । এছাড়া বসতবাড়িতে লুটপাট চালিয়েছে। মাহবুব আলমের অত্যাচারে আমি এবং আমার পরিবার অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি।আমি তাদের বিরুদ্ধে বাগাতীপাড়া থানায় বারং বার অভিযোগ করেও কোন সমাধান ও অভিযোগ দায়ের করতে পারিনি।

নিরুপায় হয়ে আমার সম্পদ ও জীবন রক্ষায় নাটোর আদালতে নির্যাতন ও হত্যার হুমকী প্রদানের অভিযোগে মামলা করেছি। মামলা করার কারনে তারা দিন দিন অত্যাচার ও নির্যাতনের মাত্রা আরো বাড়িয়েছে।

জমি দখলের জন্যে আমার আপন ছোট ভাই মাহবুব আলম এবং তাঁর ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা গত ১৫ আগষ্ট প্রকাশ্যে শতশত মানুষের সামনে তালতলা গ্রামে আমাকে মেরে ফেলার উদ্ধেশ্যে লোহার রোড নিয়ে হামলা করে। এসময় মাহবুব লোহার রড দ্বারা আমার পায়ে উর্পযুপরী আঘাত করলে আমি গুরুত্বর আহত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি,আমার স্ত্রী হালিমা বেগম আমাকে রক্ষায় এগিয়ে এলে তাকেও মারধোরসহ বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানী করা হয়।

ওই হামলায় আমি আহত হয়ে নাটোর আধুনিক হাসপাতালে ৩ দিন চিকিৎসাধীন ছিলাম। চিকিতসা শেষে বাড়ি ফিরে এসে তাদের বিরুদ্ধে বাগাতিপাড়া থানায় মামলা করতে গেলে অজ্ঞাত কারনে আমারমামলা গ্রহন করা হয়নি। পুলিশ স্থানীয় একজন সরকার দলীয় নেতার প্রভাবের কারনেই মাহবুব আলম এবং তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছেন না।

এসময় মিজানুরের বৃদ্ধ মা মমেনা বেগম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, তাঁর ছয় সন্তানের মধ্যে মাহবুব আলম ছাড়া পাঁচ সন্তান আমাকে দেখাশোনা করে। মাহবুব আলম জমি জায়গার জন্য একাধিকবার আমাকে মারপিট করে । গত বছর সে আমাকে গলাটিপে হত্যার চেষ্টা করে এবং মাটিতে ফেলে লাথি মারতে থাকে। আমার সন্তানরা এসে আমাকে রক্ষা করে। আমি এ বিষয়ে বাগাতিপাড়া থানায় মামলা করেই কোন প্রতিকার পায়নি।

তিনি প্রশাসনের নিকট দাবী করে বলেন, আমার জমিতে র্নির্বিগ্নে চাষাবাদ করাসহ সকল স্বাভাবিক কর্মকান্ড চালাতে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সর্বাত্বক সহযোগীতা চাই। সেই সাথে জমি দখল অপচেষ্টার হতা এবং আমার প্রাননাশের হুমকীদাতা মাহবুব আলম এবং তার সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তি দাবী করেন।

এ ব্যাপারে মাহবুব আলমের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।

নাটোরের বাগাতীপাড়া থানার ওসি নজমুল হক বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত স্বাপক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.