আজ বৃহস্পতিবার সকালে মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক শংকর কুমার তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সকালে ৭টার দিকে মেয়র আব্বাস আলীকে আদালতে তোলে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ। এ সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়।
কিন্তু আদালত আগামী রোববার (০৫ ডিসেম্বর) রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে মেয়র আব্বাসকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গত ২২ নভেম্বর রাতে মেয়র আব্বাস আলীর ১ মিনিট ৫১ সেকেন্ডের একটি অডিও ক্লিপ নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল বানালে ‘পাপ হবে’ এমন কথা বলতে শোনা গেছে মেয়র আব্বাস আলীকে।
এই ঘটনায় ২৩ নভেম্বর রাতে মেয়র আব্বাসের বিরুদ্ধে আরএমপির তিন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তিনটি অভিযোগ দেওয়া হয়। এর মধ্যে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় দায়ের করা নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১৩ নং কাউন্সিলর আব্দুল মোমিনের অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়।
আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় গতকাল বুধবার (০১ ডিসেম্বর) ভোরে রাজধানী ঢাকার ঈশা খাঁ হোটেল থেকে তাকে আটক করে র্যাব। পরে তাকে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। সেই মামলায় মেয়র আব্বাস আলীকে রিমান্ড চেয়ে আদালতে তোলে পুলিশ।
ম্যুরাল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ২৪ নভেম্বর পৌর আওয়ামী লীগের আহŸায়ক পদ থেকে মেয়র আব্বাসকে অপসারণের করে পবা উপজেলা আওয়ামী লীগ। এর দুইদিন পর ২৬ নভেম্বর তাকে জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য পদ থেকেও অব্যাহতি দেয় রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ।
মেয়র আব্বাস আলী কাটাখালী পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে প্রথমবার মেয়র নির্বাচিত হন।
২০২০ সালের ডিসেম্বরেও তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হন। বির্তকিত কর্মকাÐের জেরে গত ২৫ নভেম্বর রাতে পৌর সভার ১২ কাউন্সিলর তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.