সুবর্ণচরে বোরো ধানের বাম্পার ফলন, ন্যায্য মূল্যথেকে বঞ্চিত কৃষক

নোয়াখালী প্রতিনিধি: চলতি বছরে সুবর্ণচরে বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী এবছর সুবর্ণচরে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে ফসল উৎপাদন হয়। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও দ্বিগুন।
আজ বুদবার (২৮ এপ্রিল) সুবর্ণচরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ণ কর্পোরেশন (বিএডিসি) ১০০ একর নিজস্ব প্রদর্শনী খামারে ধান কাটার পরিদর্শনে গিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, উপসি, বিধান-৭৪, বিধান-৫৮, বিধান-৬৭, বালিয়া-২ ও হাইব্রিড ধান চাষ করায় অধিকমাত্রা ফসল উৎপাদন হয়। ফলে কৃষক খুশি এবং কৃষকের মুখে হাসি লক্ষণীয়।
চর আমান উল্যাহ’র কৃষক শাহাদাত হোসেন রাজু ও চরক্লার্কের কৃষক সিরাজুল ইসলাম বিটিসি নিউজকে জানান, বীজ, সার, কীটনাশক ও পানি সংকট এবং শ্রমিকের মজুরি বেশি হওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। বর্তমান বাজারে ধানের মূল্য ৫০-৮০০ টাকা। যার ফলে কৃষক ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. হারুন অর রশিদ বিটিসি নিউজকে জানান, সুবর্ণচরে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করেছে কৃষক। কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও দ্বিগুণ। করোনার পরিস্থিতিতে শ্রমিক সংকট হওয়ায় ৭০% ভূর্তকিতে ৫ টি ধান কাটা ও মাড়াই মিশিন কৃষকের মাঝে প্রদান করা হয়। এবং প্রতিটি মিশিনের মূল্য ২৯ লক্ষ টাকার অধিক।
তিনি আরো জানান, ৫৭ হাজার ৮২ মেট্রিকটন বোরো ধান সুবর্ণচরে উৎপাদন হবে। সরকার বর্তমান মৌসুমে সুবর্ণচর থেকে প্রতিকেজি ২৭ টাকা মূল্যে, মন ১ হাজার ৮০ টাকা দামে, ১ হাজার ৮২ মেট্রিকটন ধান খাদ্য অধিদপ্তর মাধ্যমে ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক উপকৃত হবে এবং ন্যায্য মূল্য পাবে বলে আমরা আশাকরি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নোয়াখালী প্রতিনিধি ইব্রাহিম খলিল। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.