৮ মাস বন্ধ ‘পকেটখালি’ পুলিশ ফাঁড়ি: ভয়ে আতঙ্কে চার উপজেলার মানুষের চলাচল বন্ধ


নাটোর প্রতিনিধি: মোড়টির নাম ‘পকেটখালি’। আজ থেকে ১০ বছর আগেই এই সড়ক দিয়ে গেলেই পথচারীদের শুধু পকেট-ই নয় রীতিমতো স্বর্বস্ব ছিনিয়ে নিতো সংঘবদ্ধ ছিনকাইকারী এবং র্র্দূবত্তরা। তাই এলাকাবাসীর কাছে মোড়টি পকেটখালি মোড় নামে পরিচিত। পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের পরে সেখানে অপরাধ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
তবে এখন আবার সেই আতঙ্ক-ই ফিরে এসেছে। সুনসান এই সড়কে সন্ধ্যার পর আর কেউ চলাচল করেন না। অথচ নাটোরের বাগাতিপাড়া এবং রাজশাহীর বাঘা, চারঘাট ও পুঠিয়া উপজেলার মানুষ ‘পকেটখালি’ হয়ে চলাচল করেন।
স্থানীয় সূত্র বলছে, এই সড়কে যাতায়াতকারী পথচারীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ২০১১ সালে পকেটখালি পুলিশ ফাঁড়িটি স্থাপন করা হয়। ফাঁড়িটি চালুর পর থেকে এই সড়কে আর ডাকাতি বা ছিনতাইয়ের ঘটনা। এরপর প্রায় ১০ বছর নির্বিঘ্নেই চলাচল করেছেন রাজশাহী ও নাটোরের চার উপজেলার মানুষ। কিন্তু হঠাৎ করে ৮মাস আগে ফাঁড়িটি বন্ধ করে দেওয়ায় ডাকাতদল এবং ছিনতাইকারীরা আবারো তৎপড়তা শুরু করেছেন।চার উপজেলার মানুষের মধ্যে আবারো পুরোনো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ২ বছর আগে থেকেই পকেটখালির এই পুলিশ ফাঁড়িটি নিরাপত্তার অজুহাতে সরিয়ে নেওয়ার গুঞ্জন ছিল। তবে এখন পুলিশ ফাঁড়িটি সত্যি তুলে নেওয়া হয়েছে। মূলত আবার দিন-দুপুরে ছিনতাইকারী ও ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সবকিছু লুটে করছে।
সম্প্রতি জামনগর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি সড়কে লাগাতার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এসব ছিনতাইয়ের পরে স্থানীয় ও পথচারীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক দেখা দেয়। মূলত স্থানীয় এবং জামনগর পশ্চিমপাড়া গ্রামের ভ্যান চালক আখতার আলীসহ অন্তত ১০ জন ভ্যান চালক জানান, দিনের আলোয় কোনোমতে চলাচাল করা গেলেও সন্ধ্যার পর থেকে জনশূণ্য হয় সড়ক। পুলিশ থাকায় সাহস নিয়ে জীবিকার তাগিদে রাতেও ভ্যান চালিয়েছেন। কিন্তু এখন সন্ধার পর বের হলেই ডাকাতির ভয় ঘিরে ধরে। পুলিশ ফাঁড়িটি সচল করে পকেটখালির এই সড়কটিকে নিরাপদ করার দাবি তাদের।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বিটিসি নিউজকে জানান, শুধু পকেটখালি নয়, ফোর্স সংকটের কারনে দেশের একাধিক পুলিশ ক্যাম্প বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে নিয়মিত টহল টিম পাঠানো হচ্ছে।
নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনের নাটোর জেলা শাখার সভাপতি গোলাম মোস্তফা বিটিসি নিউজকে বলেন, সড়ক নিরাপদ রাখার স্বার্থে ও পথচারীদের নিরাপত্তার বিষয়ে খেয়াল করে ফাঁড়িটি দূত চালু করার জন্য কতৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান তিনি।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বিটিসি নিউজকে বলেন, ফাঁড়ি বন্ধ করা হয়নি। ফোর্স সংকট থাকায় স্থায়ী ভাবে পুলিশ রাখা সম্ভব হচ্চেনা। তবে টহলটিম প্রতিনিয়ত ওই এলাকায় নজর রাখছে। ফোর্স বাড়লেই আগের মতো স্থায়ী ভাবে পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.