৬৩ বছরের ইতিহাসে প্রথম ড্র, জয়বঞ্চিত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: তখন হয়তো জয়োল্লাসের অপেক্ষায় ছিলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ-খেলোয়াড়-সমর্থকরা। ইউরোপা লিগের শীর্ষ ষোলোর প্রথম লেগে ইতালির ক্লাব এসি মিলানের বিপক্ষে রেড ডেভিলরা এগিয়ে ছিলো ১-০ গোলে।
৯০ মিনিটের খেলা শেষে যোগ করা সময়ের খেলা চলছিলো। সে সময় কর্নার পায় মিলান। ইউনাইটেড সমর্থকদের হতাশ করে দুর্দান্ত গোল করেন মিলান ডিফেন্ডার সিমন কায়ের। ম্যাচ শেষ হয় ১-১ সমতায়। গুরুত্বপূর্ণ অ্যাওয়ে ম্যাচে গোল আদায় করে নিয়ে, কোয়ার্টারের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেলো মিলান।
এর আগে ইউরোপিয়ান ক্লাব প্রতিযোগিতায় ১০ বার মুখোমুখি হয়েছিলো মিলান ও ইউনাইটেড। দু’দলের ছিলো সমান ৫টি করে জয়। দু’দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের ৬৩ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ড্র হলো কোনো ম্যাচ।

অবশ্য এদিন ভাগ্য কেনো যেন পক্ষে ছিলো না ইতালিয়ান জায়ান্টদের। পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেছে স্টেফানো পিওলির দল। ইব্রাহিমোভিচ খেলবেন না সেটা নিশ্চিত ছিলো আগেই। ইউনাইটেডও মাঠে নামলো ইনজুরিতে ছিটকে যাওয়া র্যা শফোর্ড-কাভানিদের ছাড়াই।

আগের ম্যাচেই ম্যানচেস্টার সিটিকে হারানো দুর্দান্ত ইউনাইটেড দলটাকে এদিন খুঁজেই পাওয়া গেলো না। যদিও ভাগ্য বেশ সুপ্রসন্ন ছিলো ওলে গানার সোলশায়ারের দল। ১১ মিনিটের মধ্যে দুই গোলে পিছিয়ে যেতে পারতো ইউরোপা লিগের সাবেক চ্যাম্পিয়নরা।

কিন্তু প্রথমে ৫ মিনিটে আর পরে ১১ মিনিটে দু’দফায় গোল বাতিল হয় মিলানের। প্রথমটা অফসাইডের জন্য আর পরেরটা হ্যান্ডবলের জন্য বাতিল হয় ভিএরআরে।
প্রথমার্ধ্বে গোলের জন্য দফায় দফায় আক্রমণ করেছে মিলান-ইউনাইটেড দু’দলই। তবে তাদের আক্রমণগুলো পূর্ণতা পায় নি। খেলার ৩৮ মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগ হারান ইউনাইটেড অধিনায়ক হ্যারি ম্যাগুইয়ার। তার নেয়া শট ফিরে আসে পোস্টে লেগে। প্রথমার্ধ্ব শেষ হয় গোলশূণ্য ভাবে।

গোলের আশায় দ্বিতীয়ার্ধ্বে একাদশে পরিবর্তন আনেন রেড ডেভিল বস সোলশায়ার। অ্যান্থনি মার্শিয়ালের পরিবর্তে মাঠে নামান তরুণ আমাদ দিয়ালোকে। মাঠে নেমেই বাজিমাত করেন ১৮ বছর বয়সী এই উইঙ্গার। ব্রুনো ফার্নান্দেসের ভাসানো বলে দারুণ হেডে ক্লাবের হয়ে নিজের প্রথম গোলে লিড এনে দেন স্বাগতিকদের।

গোল পেয়ে ইউনাইটেডের যেন কিছুটা গা ছাড়া ভাব চলে আসে। তবে মিলান ঠিকই ভীতি ছড়াতে থাকে রেড ডেভিল ডিফেন্সে। শেষ বাঁশি বাজার আগে হারবো না। এমন মানসিকতা নিয়েই গোলের জন্য হন্যে হয়ে খেলতে থাকে রসোনেরিরা। শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়েছে।

সব আসর মিলিয়ে প্রায় ৫০০ মিনিটেরও বেশী সময় কোনো দল গোল দিতে পারেনি ইউনাইটেডের জালে। অবশেষে সেই দূর্গ ভাঙ্গেন ড্যানিশ সেন্টার ব্যাক সিমোন কায়ের। গুরুত্বপূর্ণ অ্যাওয়ে ম্যাচে শুধু গোলই না, ড্র আদায় করে নেয় স্টেফানো পিওলির দল। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.